বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
উদাসিনী-বেশে বিদেশিনী কে সে
নাইবা তাহারে জানি
পাঠ ও পাঠভেদ:
উদাসিনী-বেশে বিদেশিনী কে সে নাইবা তাহারে জানি,
রঙে রঙে লিখা আঁখি মরীচিকা মনে মনে ছবিখানি॥
পুবের হাওয়ায় তরীখানি তার এই ভাঙা ঘাট কবে হল পার
দূর নীলিমার বক্ষে তাহার উদ্ধত বেগ হানি॥
মুগ্ধ আলসে গণি একা বসে পলাতকা যত ঢেউ।
যারা চলে যায় ফেরে না তো হায় পিছু-পানে আর কেউ।
মনে জানি কারো নাগাল পাব না- তবু যদি মোর উদাসী ভাবনা
কোনো বাসা পায় সেই দুরাশায় গাঁথি সাহানায় বাণী॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
Ms. 191 পাণ্ডুলিপি-১, পাণ্ডুলিপি-২
Ms. 387C
পাঠভেদ:
গীতবিতান
দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। প্রেম (প্রেম বৈচিত্র্য-৮৫) পর্যায়ের ১১২ সংখ্যক গান এবং প্রেম ও প্রকৃতি' পর্যায়ের ৯১ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান ঊনষষ্টিতম (৫৯) খণ্ডের (জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩) দ্বিতীয় গান। পৃষ্ঠা : ১০-১২।
পত্রিকা:
বিশ্বভারতী পত্রিকা (কার্তিক-পৌষ, ১৩৭০)। শৈলজারঞ্জন মজুমদার-কৃত স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।
রাগ : কেদার। এই গানে এমন স্বরগুলির ব্যবহার হয়েছে যেগুলি সাধারণত কেদার রাগে আসে না। তবুও সম্পূর্ণ গানে কেদারের রূপ স্পষ্ট। অবরোহণে র্গ র্গ র্গ র্গর্র। র্র র্রর্স র্সন এইভাবে অবরোহণে গান্ধার সরলভাবে লেগেছে। এইরূপ গান্ধার কেদারে ব্যবহার হয় না। অন্তরার দ্বিতীয় পঙ্ক্তিতে র্গ র্প এইভাবে আরোহণ করা হয়েছে এবং অবরোহণে গান্ধার সরলভাবে লাগানো হয়েছে। সঞ্চারীতে স গ র। র্স ন ধর্স ন। এইরূপ স্বর প্রয়োগ হয়েছে। প্রচলিত কেদারে এইরূপ স্বর প্রয়োগ করা হয় না। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭০]
রাগ: মিশ্র কেদারা। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৩৫]।
গ্রহস্বর: মা
লয়: মধ্য