বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
গান আমার যায় ভেসে যায়
পাঠ ও পাঠভেদ:
গান আমার যায় ভেসে যায়—
চাস্ নে
ফিরে, দে তারে বিদায়॥
সে যে দখিনহাওয়ায় মুকুল ঝরা, ধুলার আঁচল হেলায় ভরা,
সে যে শিশির-ফোঁটার মালা গাঁথা বনের আঙিনায়॥
কাঁদন-হাসির আলোছায়া সারা অলস বেলা—
মেঘের গায়ে রঙের মায়া, খেলার পরে খেলা।
ভুলে-যাওয়ার বোঝাই ভরি গেল চলে কতই তরী—
উজান বায়ে ফেরে যদি কে রয় সে আশায়॥
তথ্যানুসন্ধান
ক.
রচনাকাল ও স্থান: এই
বৎসরের আষাঢ় মাসে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন সময়ে মোট ৪টি গান রচনা করেন।
এর ভিতরে এই গানটি তিনি রচনা করেন ১৮ আষাঢ় [২ জুলাই ১৯২৫] তারিখে। এই সময় তাঁর বয়স
ছিল ৬৪ বৎসর ২ মাস।
১৩৩২ বঙ্গাব্দের
১৫ শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। কিন্তু ইউরোপ যাত্রার জন্য
তিনি কলকাতায় আবার আসেন ২৪ শ্রাবণে। পরে স্বাস্থ্যগতকারণে ইউরোপ যাত্রা বাতিল হয়ে
যায়। ২৬ ভাদ্র-এ তাঁর নতুন নাটক
শেষবর্ষণ
মঞ্চস্থ হয়। ধারণা করা যায় শ্রাবণ মাসের শেষার্ধে তিনি
এই নাটক রচনা করেছিলেন। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর রবীন্দ্রজীবনী
গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ডে এ বিষয়ে লিখেছেন- 'কলিকাতায় 'চিরকুমার সভা' অভিনয় দেখিয়া
কবি শান্তিনিকেতন ফিরিলেন। বর্ষাগানের ঝরনাধারা এখনো মনোমধ্যে বহিতেছে;
'শেষবর্ষণ'এর পালাগান রচিলেন।' [রবীন্দ্রজীবনী ।
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। তৃতীয় খণ্ড। পৃষ্ঠ: ২৪০। বিশ্বভারতী ১৪০৬]।
শেষবর্ষণ'-এ মোট
মোট ২৪টি গান ছিল। এই গানগুলোর ভিতরে ২০টি গান ছিল সদ্য রচিত।
পূর্বে রচিত ৪টি গানের ভিতরে এই গানটি ছিল।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
ঋতু-উৎসব [বিশ্বভারতী। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। শেষ বর্ষণ। নটরাজের গান। পৃষ্ঠা ২৯] [নমুনা]
গীতবিতান-এর প্রেম (উপ-বিভাগ : গান-১৬) পর্যায়ের ১৬ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান একত্রিংশ (৩১, গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (পৌষ ১৪১২) ৩৮সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১২৯-১৩০।
পত্রিকা:
শান্তিনিকেতন (কার্তিক ১৩৩২)
সবুজপত্র (কার্তিক ১৩৩২)
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপি: [নমুনা]
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ত্রিংশ খণ্ডের খণ্ডের (পৌষ ১৪১২) গৃহীত স্বরলিপিতে গানটির রাগ-তালের উল্লেখ নেই। গানটির স্বরলিপিটি ৩।৩ ছন্দের 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ : মাণ্ড [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৫]
অঙ্গ: বাউল। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।] পৃষ্ঠা: ৪৯।
অঙ্গ: কীর্তন। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ৮৮।
গ্রহাস্বর : গরা
লয় : মধ্য