বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম: ওগো আমার চির-অচেনা
পরদেশী
পাঠ ও পাঠভেদ:
ওগো আমার চির-অচেনা পরদেশী,
ক্ষণতরে এসেছিলে নির্জন নিকুঞ্জ হতে কিসের আহ্বানে॥
যে কথা বলেছিলে ভাষা বুঝি নাই তার,
আভাস তারি হৃদয়ে বাজিছে সদা
যেন কাহার বাঁশির মনোমোহন সুরে॥
প্রভাতে একা বসে গেঁথেছিনু মালা,
ছিল পড়ে তৃণতলে অশোকবনে।
দিনশেষে ফিরে এসে পাই নি তারে,
তুমিও কোথা গেছ চলে―
বেলা গেল, হল না আর দেখা॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
ক. রচনাকাল ও স্থান:
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর 'রবীন্দ্রসঙ্গীত কালানুক্রমিক সূচি' গ্রন্থে
এই গানটির রচনাকাল সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন- '১৯৩৭ সালের বর্ষামঙ্গল উৎসবের
রিহার্সলের সময় রচিত'।
এই সময়
রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৭৬ বৎসর।
উল্লেখ্য,
১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ) ৩০শে শ্রাবণ
শান্তিনিকেতনে 'বর্ষামঙ্গল' উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আশ্রমের অধ্যাপক
নিত্যানন্দ বিনোদ গোস্বামীর পুত্র বীরেশ্বরের হঠাৎ মৃত্যু হয়। এই কারণে এই উৎসবটি
স্থগিত করা হয়। এই উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্র ১৬টি গান রচনা করেছিলেন।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
গীতবিতানের প্রেম (প্রেম বৈচিত্র্য-১৬৭)পর্যায়ের ১৯৪ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান ঊনষষ্টিতম (৫৯) খণ্ডের (জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) নবম গান। পৃষ্ঠা : ২৮-৩০।
পত্রিকা:
প্রবাসী (কার্তিক ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ)।
কিশোরী পত্রিকা (১৩৬৮ বঙ্গাব্দ)।
পরিবেশনা: ১৩৪৪ বঙ্গাব্দে অনুষ্ঠিত বর্ষামঙ্গল উৎসবে এই গানটি গীত হয়।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার। [সূত্র : গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়]
রাগ ও তাল:
স্বরবিতান ঊনষষ্টিতম (৫৯) খণ্ডের (জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে গানটির রাগ ও তালের কোন উল্লেখ নেই। তবে স্বরলিপিটির একটি তারকাচিহ্ণিত স্থানকে নির্দেশ করে বলা হয়েছে যে, উক্ত স্থানে আরো পাঁচ মাত্রা (২।৩) টানলে প্রচলিত ঝাঁপতালে গানটি গাওয়া যেতে পারে এবং এতে গানটির গাম্ভীর্য বাড়বে।
রাগ : পিলু। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭২]
রাগ: পিলু-ভীমপলশ্রী। তাল: অর্ধ-ঝাঁপতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪১]
রাগ: কাফি-ভীমপলশ্রী তাল: অর্ধঝাঁপতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৭৫।]
গ্রহস্বর : পা।
লয় : মধ্য।