বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
		গান সংখ্যা:
		শিরোনাম: 
অনেক 
দিনের আমার যে গান আমার কাছে ফিরে আসে
পাঠ ও পাঠভেদ:
অনেক দিনের আমার যে গান আমার কাছে ফিরে আসে
তারে আমি শুধাই, তুমি ঘুরে বেড়াও কোন্ বাতাসে॥
যে ফুল গেছে সকল ফেলে গন্ধ তাহার কোথায় পেলে,
যার আশা আজ শূন্য হল কী সুর জাগাও তাহার আশে॥
সকল গৃহ হারালো যার তোমার তানে তারি বাসা,
যার বিরহের নাই অবসান তার মিলনের আনে ভাষা।
শুকালো যেই নয়নবারি তোমার সুরে কাঁদন তারি,
ভোলা দিনের বাহন তুমি স্বপন ভাসাও দূর আকাশে।
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
	Ms. 028
 
	পাঠভেদ: 
	
পাঠভেদআছে। 
স্বরবিতান
একত্রিংশ 
 খণ্ডের (পৌষ ১৪১২) ১৮১ পৃষ্ঠায় 
মুদ্রিত পাঠভেদ নিচে তুলে ধরা হলো।
                
স্বপন ভাসাও দূর আকাশে            
: স্বরলিপি, গীত-মালিকা ২ (পৌষ ১৩৩৬)
                
স্বপ্ন ভাসাও দূর আকাশে              
: কথার অংশ, গীত-মালিকা ২ (পৌষ ১৩৩৬)
                                                              
গীতবিতান ৩ (শ্রাবণ ১৩৩৬)                                                        
	
তথ্যানুসন্ধান
	ক. রচনাকাল ও স্থান: 
 ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন সময়ে মোট ৬টি 
গান রচনা করেন। এই গানগুলোর ভিতের এই গানটিও ছিল। এই বিচারে ধারণা করা যায়, এই সময় 
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬৮ বৎসর ৮ মাস।
	
	১৩৩৬ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে মহুয়া  নামক কাব্যগ্রন্থে 
পুরাতন নামে একটি কবিতা মুদ্রিত হয়। এই কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ১৩৩৫ খ্রিষ্টাব্দের পৌষ 
মাসে রচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ পরে এই কবিতাটি পরিবর্তন করে গানে পরিণত করেন এবং 
সুরারোপ করেন। 
 
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ)
দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। প্রেম (উপ-বিভাগ : গান-২১) পর্যায়ের ২১ সংখ্যক গান।
গীতমালিকা দ্বিতীয় ভাগ (পৌষ ১৩৩৬)।
স্বরবিতান একত্রিংশ (৩১, গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (পৌষ ১৪১২) ৪৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৮।
রাগ: দেশ। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: ২৩]
রাগ: দেশ, ছায়ানট। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৪৬।]