বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তুমি কোন্ ভাঙনের পথে এলে
সুপ্তরাতে
পাঠ ও পাঠভেদ:
তুমি কোন্ ভাঙনের পথে এলে সুপ্তরাতে।
আমার ভাঙল যা তা ধন্য হল চরণপাতে॥
আমি রাখব গেঁথে তারে রক্তমণির হারে,
বক্ষে দুলিবে গোপনে নিভৃত বেদনাতে॥
তুমি কোলে নিয়েছিলে সেতার, মীড় দিলে নিষ্ঠুর করে―
ছিন্ন যবে হল তার ফেলে গেলে ভূমি-'পরে।
নীরবে তাহারি গান আমি তাই জানি তোমারি দান―
ফেরে সে ফাল্গুন-হাওয়ায়-হাওয়ায় সুরহারা মূর্ছনাতে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের দুটি পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়।
Ms.107 [নমুনা]
পাঠভেদ: নাই
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটি
রচনার সুনির্দিষ্ট সমায় জানা যায় নি। ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে প্রকাশিত
নবীন নাটকে এই গানটি ছিল না। 'মুক্তধারা' পত্রিকার 'চৈত্র ১৩৩৭' সংখ্যায় এই
গ্রন্থের পরিবর্তিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এখানে এই গানের প্রথম দুটি চরণ ছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'বনবাণী'র অংশ 'নবীন'-এ এই গানের প্রথম দুটি চরণ
প্রকাশিত হয়। সম্ভবত এই সময়ে সম্পূর্ণ গানটি রচিত হয় নি।
সানাই (১৩৪৭
বঙ্গাব্দ)-তে 'ভাঙন' শীর্ষক যে কবিতাটি গৃহীত হয়েছে, তার নিচে
স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে, 'শ্রীনিকেতন/ ১২।৭। ১৩৩৯'। অর্থাৎ ১২ই জুলাই
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ (২৭শে আষাঢ় ১৩৪৬ বঙ্গাব্দ) ।এই সময়ের বিচারে কবিতাটির
রচনার সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৭৮ বৎসর
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
অঙ্গ: গৌড়-মল্লার (জ্ঞ)। তাল: কাহারবা (২+২)।[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ৯৭।