বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
দূরের বন্ধু সুরের দূতীরে
পাঠ ও পাঠভেদ:
দূরের বন্ধু সুরের দূতীরে পাঠালো তোমার ঘরে।
মিলনবীণা যে হৃদয়ের মাঝে বাজে তব অগোচরে॥
মনের কথাটি গোপনে গোপনে বাতাসে বাতাসে ভেসে আসে মনে,
বনে উপবনে, বকুলশাখার চঞ্চলতায় মর্মরে মর্মরে॥
পুষ্পমালার পরশপুলক পেয়েছ বক্ষতলে,
রাখো তুমি তারে সিক্ত করিয়া সুখের অশ্রুজলে।
ধরো সাহানাতে মিলনের পালা, সাজাও যতনে বরণের ডালা―
মালতীর মালা, অঞ্চলে ঢেকে কনকপ্রদীপ আনো আনো তার পথ-'পরে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ: অরূপরতনের ১৩৪২ বঙ্গাব্দ সংস্করণে এই গানটির অন্তর্ভূক্তি বিষয়ে শান্তিদেব ঘোষ তাঁর গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ও আধুনিক ভারতীয় নৃত্য (পৃষ্ঠা ১৭৪-১৭৫)লিখেছেন, "৩য় দৃশ্যের ৩৭ পৃষ্ঠায় বালকগণের গান 'মালা হতে খসে পড়া'-র জায়গায় স্থান পেল 'দূরের বন্ধু সুরের দূতীরে' মেয়েদের নাচের গান হিসেবে।"
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৯৩৪
খ্রিষ্টাব্দের
২১ সেপ্টেম্বর এই
গানটি রচিত হয়। এই বিচারে
গানটি রবীন্দ্রনাথের
৭৩ বৎসর ১ মাস বয়সের রচনা।
[সূত্র :
স্বরবিতান চতুঃপঞ্চাশত্তম
(৫৪) খণ্ড
(চৈত্র
১৪১৩
বঙ্গাব্দ)]
রাগ কালাংড়া, ভৈরব, ভৈরবী। তাল কাহারবা।[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১০৩]