বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম: বাহির পথে বিবাগি হিয়া

পাঠ ও পাঠভেদ:

• গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: প্রেম : ৩২১

বাহির পথে বিবাগি হিয়া    কিসের খোঁজে গেলি,

        আয় রে ফিরে আয়।

পুরানো ঘরে দুয়ার দিয়া ছেঁড়া আসন মেলি

        বসিবি নিরালায়॥

সারাটা বেলা সাগরধারে  কুড়ালি যত নুড়ি,

নানা রঙের শামুক-ভারে  বোঝাই হল ঝুড়ি,

লবণপারাবারের পারে প্রখর তাপে পুড়ি
                   মরিলি পিপাসায়―
ঢেউয়ের দোল তুলিল রোল   অকূলতল জুড়ি,
                   কহিল বাণী কী জানি কী ভাষায়॥

বিরাম হল আরামহীন যদি রে তোর ঘরে,  না যদি রয় সাথি,

সন্ধ্যা যদি তন্দ্রালীন মৌন অনাদরে,  না যদি জ্বালে বাতি,

তবু তো আছে আঁধার কোণে  ধ্যানের ধনগুলি―

একেলা বসি আপন-মনে     মুছিবি তার ধূলি,

গাঁথিবি তারে রতনহারে  বুকেতে নিবি তুলি মধুর বেদনায়।

    কাননবীথি ফুলের রীতি  নাহয় গেছে ভুলি,

        তারকা আছে গগনকিনারায়॥

• পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।

• পাঠভেদ:

তথ্যানুসন্ধান

• ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের ২৯ চৈত্রে এই গানটি রচিত হয়। এই বিচারে গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬৬ বৎসর ৯ মাস বয়সের রচনা। [সূত্র : গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়]
   

• খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
  • গ্রন্থ
    • গীতবিতান -এর প্রেম (প্রেম বৈচিত্র্য-২৯৪) পর্যায়ের ৩২১ সংখ্যক গান।
    • স্বরবিতান চতুঃপঞ্চাশত্তম (৫৪) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ১৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ৬৩-৬৬।
    • মহুয়া, অবশেষে (আশ্বিন ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ)।
  • পত্রিকা
    • সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা পত্রিকা (কার্তিক ১৩৪১ বঙ্গাব্দ)।
    • মাসিক বসুমতী, দিনান্তে (বৈশাখ ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ)।

   

• গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
  • স্বরলিপিকার:  শান্তিদেব ঘোষ। [সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা পত্রিকা (কার্তিক ১৩৪১ বঙ্গাব্দ)]
             [ শান্তিদেব ঘোষ -কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
                         [স্বরলিপি]
  • সুর ও তাল:
    • স্বরবিতান চতুঃপঞ্চাশত্তম (৫৪) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।২ মাত্রা ছন্দে ঝম্পক তালে নিবদ্ধ।
       
    • রাগ : মিয়া কি সারং। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৫]
    • রাগ: বৃন্দাবনী সারং। তাল: ঝম্পক। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৯]।
    • রাগ: বৃন্দাবনী সারং। তাল: ঝম্পক [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ১২০।
    • গ্রহস্বর: রা।
    • লয়: মধ্য।