বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা : 
 
শিরোনাম:
					ঘরেতে    ভ্রমর এল    
গুন্গুনিয়ে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
ঘরেতে ভ্রমর এল গুন্গুনিয়ে।
আমারে কার কথা সে যায় শুনিয়ে॥
আলোতে কোন্ ফাগুনে মাধবী জাগল বনে,
এল সেই ফুল-জাগানোর খবর নিয়ে।
সারা দিন সেই কথা সে যায় শুনিয়ে॥
কেমনে রহি ঘরে, মন যে কেমন করে-
কেমনে কাটে যে দিন দিন গুনিয়ে।
কী মায়া দেয় বুলায়ে, দিল সব কাজ ভুলায়ে,
বেলা যায় গানের সুরে জাল বুনিয়ে।
আমারে কার কথা সে যায় শুনিয়ে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
Ms. 125 [অচলায়তনের পাণ্ডুলিপি] [নমুনা]
Ms. 230 অচলায়তন-এর প্রথম মুদ্রিত সংস্করণের পাঠ [পাণ্ডুলিপি] তবে পাণ্ডুলিপিতে গানটি লম্বা দাগে কেটে দেওয়া অবস্থায় দেখা যায়।
Ms. 244 [অচলায়তনের পাণ্ডুলিপি] [নমুনা]
96 (iv) [নমুনা]
	পাঠভেদ: 
	এটি ভাঙা 
	গান। সুর্নিমিল ভট্টাচার্যের 'রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভাঙাগানের উৎস সন্ধান' দ্বিতীয় 
	খণ্ডে গোপাল উড়িয়া রচিত মূল গানটির যে নমুনা মুদ্রিত হয়েছে, তা নিচে দেওয়া হলো—
            
	ওই দেখা যায় বাড়ী 
	আমার চারদিকে মালঞ্চবেড়া
            ভ্রমরাতে করছে 
	গুন্ গুন্ কোকিলেতে দিচ্ছে সাড়া।
            ভ্রমরা ভ্রমরী 
	সনে আনন্দিত কুসুম বনে
            আমার এই 
	ফুলবাগানে তিলেক নাই বসন্ত ছাড়া।
            যদি অনুগ্রহ 
	ক'রে এস এ অধীনের ঘরে
            যত্ন ক'রে 
	রাখি তারে তিলেক না করি তাড়া॥
একই সুরে আরও একটি বাউল 
গান পাওয়া যায়। এই গানটি হলো।       
[শ্রবণ 
নমুনা: অজ্ঞাত]
            কলঙ্কেতে ভয় 
করো না বিধুমুখী
                        
যে যা বলে সয়ে থেকো 
                  
হয়ে আমার দুখের দুখী॥
            মাতঙ্গ করিলে 
যারে, পতঙ্গেতে কি না বলে 
            পঞ্চকের বনে 
গেলে কাঁটা ফুটে পায়
            তাই বলে 
বিধুমুখী ওমনি থাকা যায়।
            ডুবেছি না 
ডুবতে আছি, পাতাল কত দূরে দেখি॥
	ক. রচনাকাল ও স্থান:
	 ১৩১৮
বঙ্গাব্দের ১ আষাঢ় থেকে ১৫ আষাঢ়ের 
মধ্যে রচিত।
                         
   রবীন্দ্রনাথের
৫০ 
বৎসর ২ মাস বয়সের 
রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ
অচলায়তন (১৫ আষাঢ় ১৩১৮ বঙ্গাব্দ)। [অচলায়তন। ২, পঞ্চকের গান। রবীন্দ্ররচনাবলী ১১ খণ্ড। পৃষ্ঠা : ৩৩৫-৩৬।
গান (১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৮ বঙ্গাব্দ)।
গীতবিতানের প্রেম (প্রেম বৈচিত্র্য-২৯৬)পর্যায়ের ৩২৬ সংখ্যক গান।
গীতিচর্চ্চা (পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
তাসের দেশ (মাঘ ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ)। চতুর্থ দৃশ্য, হরতনীর গান। রবীন্দ্ররচনাবলী ২৩ খণ্ড। পৃষ্ঠা : ১৮১।
স্বরবিতান দ্বাদশ খণ্ডের (১২, তাসের দেশ) খণ্ডের গান। বাণী অংশ: ৩১। স্বরলিপি অংশ : পৃষ্ঠা ৭৭-৭৯।
প্রবাসী (আশ্বিন ১৩১৮)। অচলায়তন নাটকের সাথে মুদ্রিত হয়েছিল। দ্বিতীয় দৃশ্য, পঞ্চকের গান। পৃষ্ঠা: ৫৬৪। [নমুনা]
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: শান্তিদেব ঘোষ।
রাগ ও তাল:
স্বরবিতান-১২'এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দেখানো হয়েছে, ৩।৩ ছন্দ ; অর্থাৎ তালটি দাদরা হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে।
রাগ : মিশ্র কালাংড়া। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান ।সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৭]
- রাগ: কালাংড়া। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।] পৃষ্ঠা: ৪৯
- অঙ্গ: কালেংড়া। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৮৮।]
গ্রহস্বর-গ। লয়- মধ্য।