বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আজি এ
নিরালা কুঞ্জে আমার অঙ্গ-মাঝে
পাঠ ও পাঠভেদ:
গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: প্রেম (উপ-বিভাগ : প্রেম বৈচিত্র্য-১৪)পর্যায়ের ৪১ সংখ্যক গান।
আজি এ নিরালা কুঞ্জে আমার অঙ্গ-মাঝে
বরণের ডালা সেজেছে আলোকমালার সাজে॥
নব বসন্তে লতায় পাতায় ফুলে
বাণীহিল্লোল উঠে প্রভাতের স্বর্ণকূলে,
আমার দেহের বাণীতে সে গান উঠিছে দুলে-
এ বরণগান নাহি পেলে মান মরিব লাজে।
ওহে প্রিয়তম, দেহে মনে মম ছন্দ বাজে॥
অর্ঘ্য তোমার আনি নি ভরিয়া বাহির হতে,
ভেসে আসে পূজা পূর্ণ প্রাণের আপন স্রোতে।
মোর তনুময় উছলে হৃদয় বাঁধনহারা,
অধীরতা তারি মিলনে তোমারি হোক-না সারা।
ঘন যামিনীর আঁধারে যেমন জ্বলিছে তারা,
দেহ ঘেরি মম প্রাণের চমক তেমনি রাজে—
সচকিত আলো নেচে ওঠে মোর সকল কাজে।
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
Ms. 027
Ms. 028
Ms. 127
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
২৫
শ্রাবণ
১৩৩৫
[১২ আগস্ট ১৯২৮]
শান্তিনিকেতন।
রবীন্দ্রনাথের
৬৭
বৎসর ৪
মাস বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
বিশ্বভারতী, ১৩৩৬।
বিশ্বভারতী, ১৩৪১।
রবীন্দ্ররচনাবলী ১৫ খণ্ড। পৃষ্ঠা ৩১-৩২। শিরোনাম- বরণডালা।
স্বরবিতান চতুঃপঞ্চাশত্তম (৫৪) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) ১৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠ : ৬৭-৭০।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
রবীন্দ্রনাথ তাঁর কবিতায়
সুরারোপ করার প্রতি বিশেষ আগ্রহের সূত্রে মহুয়া কাব্যের নিবেদন কবিতাটা গানে পরিণত
হয়েছিল। শান্তিদেব ঘোষ এ প্রসঙ্গে তাঁর 'রবীন্দ্রসঙ্গীত' গ্রন্থের 'কাব্যগীতি'
অধ্যায়ে লিখেছেন- '১৩৪০ সালে ফাল্গুন মাসে বড়ো কবিতায় সুর দেবার বিশেষ ঝোঁক তাঁর
মনে দেখা দিয়েছিল। এই মাসের শেষ সপ্তাহে একটানা 'মহুয়া'র
সাতটি কবিতায় সুর-যোজনা করেন। কীর্তনের সুরে 'আজি এ নিরালা কুঞ্জে' মিশ্র পরজ,
বসন্ত-ভৈরবী সুরে 'অজানা খনির নূতন মণির গেঁথেছি হার'।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান চতুঃপঞ্চাশত্তম খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩) এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
রাগ : কীর্তনাঙ্গ। এর সুরান্তরও কালাংড়া রাগে এবং দাদরা তালে নিবদ্ধ। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭০]
গ্রহস্বর : সা
লয় : মধ্য