• গীতবিতান অখণ্ড (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২ )-এর পাঠ: প্রেম (উপ-বিভাগ: প্রেম বৈচিত্র্য-১৫) পর্যায়ের ৪২ সংখ্যক গান।

ফিরে যাও কেন ফিরে যাও বহিয়া বিফল বাসনা॥
চিরদিন আছ দূরে অজানার মতো নিভূত অচেনা পুরে,
        কাছে আস তবু আস না
        বহিয়া বিফল বাসনা॥
        পারি না তোমায় বুঝিতে-
ভিতরে কারে কি পেয়েছ, বাহিরে চাহ না খুঁজিতে।
        না-বলা তোমার বেদনা যত
        বিরহপ্রদীপে শিখারই মতো
        নয়নে তোমার উঠিছে জ্বলিয়া
        নীরব কী সম্‌ভাষণা॥

• পাণ্ডুলিপির পাঠ:
Ms.191 [নমুনা]। এই গানটি লেখা হয়ে হয়েছিল পাণ্ডুলিপি ২৯ পৃষ্ঠায়। গানটির উপরে লেখা আছে- "গান/" কথা ও সুর-২১। ৮।৩৮। অর্থাৎ গানটির লেখা এবং সুর করার তারিখ ২১ অগ্রহায়ণ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। পাণ্ডুলিপির শেষে আবার রচনার তারিখ ও স্থানের নাম পাওয়া যায়। 'শান্তিনিকেতন ২১।৮।৩৮। গানটির নিচে রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষর রয়েছে।

১৩০৬ বঙ্গাব্দের ২৩ আশ্বিন রবীন্দ্রনাথ 'পরিশোধ' নামক একটি কবিতা রচনা করেন। এই কবিতাটির বিষয়বস্তু নিয়ে ১৩৪৩ সালের আশ্বিনে মাসে 'পরিশোধ' নামক নৃত্যনাট্য রচনা করেন। এরপর বিভিন্ন সময় অভিনয় উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ কিছু না কিছু পরিবর্তন করেন। ১৩৪৬ বঙ্গাব্দের ভাদ্রে এই নৃত্যনাট্যটি সুশীলকুমার ভঞ্জ চৌধুরী –কৃত ও শৈলজারঞ্জন মজুমদার –কর্তৃক সম্পাদিত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত ও প্রচারিত হয়।  আলোচ্য গানটি শ্যামা'র সর্বশেষ পরিবর্তনে যুক্ত হয়।

• পাঠভেদ:

• তথ্যানুসন্ধান

  • ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩৪৬ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ পূর্ব-রচিত 'পরিশোধ' নামক নৃত্যনাট্যকে পরিবর্ধিত করেন। এই সময় তিনি 'শ্যামা'তে এই গানটি যুক্ত করেন। এই বিচারে গানটি রবীন্দ্রনাথের ৭৭ বৎসর বয়সের রচনা।

  • খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
    • গ্রন্থ:
      • গীতবিতান-এর প্রেম (উপ-বিভাগ : প্রেম বৈচিত্র্য-১৫) পর্যায়ের ৪২ সংখ্যক গান।
      • শ্যামা, দ্বিতীয় দৃশ্য, সখিদের গান। [রবীন্দ্ররচনাবলী ২৫শ খণ্ড, বিশ্বভারতী। বৈশাখ ১৩৫৫]
      • স্বরবিতান ঊনবিংশ (১৯, শ্যামা) খণ্ডের (শ্রাবণ ১৪১৬) গান। বাণী অংশ : ৯। স্বরলিপি অংশ : ৩৭-৩৮।
    • গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
      • ভাঙা গান: এটি একটি ভাঙা গান। মূল গান: কহো ন ঐসী বাত [হাম্বীর। ত্রিতাল]
      • স্বরলিপিকার: সুশীলকুমার ভঞ্জ চৌধুরী।
      • সুর ও তাল:
        • শ্যামা'র নৃট্যনাট্য রূপ। ১৩৪৬ ভাদ্রে সুশীলকুমার ভঞ্জ চৌধুরী –কৃত ও শৈলজারঞ্জন মজুমদার –কর্তৃক সম্পাদিত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত ও প্রচারিত হয়।
        • রাগ: ইমন-ভূপালী। তাল: ত্রিতাল  [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৬
        • রাগ: হাম্বীর। তাল: কাওয়ালি। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১৫]
        • স্বরবিতান ঊনবিংশ (১৯, শ্যামা) খণ্ডের (শ্রাবণ ১৪১৬) এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ২।৩ মাত্রা ছন্দে অর্ধ-ঝাঁপতালে নিবদ্ধ। 
        • রাগ : কাফি। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৬৯]
        • রাগ: কাফি। তাল: ঝাঁপতাল  [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৬
        • রাগ: কাফি। তাল: অর্ধ-ঝাঁপতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১৫]
        • গ্রহস্বর : সা।
        • লয় : মধ্য।