বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমার
গোধূলিলগন এল বুঝি কাছে গোধূলিলগন রে
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছ দান—
তুমি জান নাই, তুমি জান নাই,
তুমি জান নাই তার মূল্যের পরিমাণ॥
রজনীগন্ধা অগোচরে
যেমন রজনী স্বপনে ভরে সৌরভে,
তুমি জান নাই, তুমি জান নাই,
তুমি জান নাই, মরমে আমার ঢেলেছ তোমার গান॥
বিদায় নেবার সময় এবার হল-
প্রসন্ন মুখ তোলো, মুখ তোলো, মুখ তোলো-
মধুর মরণে পূর্ণ করিয়া সঁপিয়া যাব প্রাণ চরণে।
যারে জান নাই, যারে জান নাই, যারে জান নাই,
তার গোপন ব্যথার নীরব রাত্রি হোক আজি অবসান॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: Ms.477
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩৪৬ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ পূর্ব-রচিত 'পরিশোধ' নামক নৃত্যনাট্যকে পরিবর্ধিত করেন। এই সময় তিনি 'শ্যামা'তে এই গানটি যুক্ত করেন। এই বিচারে গানটি রবীন্দ্রনাথের ৭৭ বৎসর বয়সের রচনা।
ঘ. প্রাসঙ্গিক
পাঠ : ১৩০৬
বঙ্গাব্দের ২৩ আশ্বিন
রবীন্দ্রনাথ 'পরিশোধ' নামক একটি কবিতা রচনা করেন। এই কবিতাটির বিষয়বস্তু নিয়ে ১৩৪৩ সালের আশ্বিনে
মাসে 'পরিশোধ' নামক নৃত্যনাট্য রচনা করেন। এরপর বিভিন্ন সময় অভিনয় উপলক্ষে
রবীন্দ্রনাথ কিছু না কিছু পরিবর্তন করেন। ১৩৪৬ বঙ্গাব্দের ভাদ্রে এই নৃত্যনাট্যটি সুশীলকুমার ভঞ্জ
চৌধুরী –কৃত ও শৈলজারঞ্জন মজুমদার –কর্তৃক সম্পাদিত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত ও প্রচারিত
হয়।
আলোচ্য গানটি শ্যামা'র সর্বশেষ পরিবর্তনে যুক্ত
হয়।
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
শ্যামা'র নৃট্যনাট্য রূপ। ১৩৪৬ ভাদ্রে সুশীলকুমার ভঞ্জ চৌধুরী –কৃত ও শৈলজারঞ্জন মজুমদার –কর্তৃক সম্পাদিত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত ও প্রচারিত হয়।
শ্যামা, দ্বিতীয় দৃশ্য, উত্তীয় গান। [রবীন্দ্ররচনাবলী ২৫শ খণ্ড, বিশ্বভারতী। বৈশাখ ১৩৫৫]
রাগ: ভৈরব, ভৈরবী। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৫৬।]
লয় : সা
মধ্য : মধ্য