হে সখা, বারতা পেয়েছি মনে মনে তব নিশ্বাসপরশনে,
এসেছ অদেখা বন্ধু দক্ষিণসমীরণে॥
কেন বঞ্চনা কর মোরে, কেন বাঁধ অদৃশ্য ডোরে-
দেখা দাও, দেখা দাও দেহ মন ভ'রে মম নিকুঞ্জবনে॥
দেখা দাও চম্পকে রঙ্গনে, দেখা দাও কিংশুকে কাঞ্চনে।
কেন শুধু বাঁশরির সুরে ভুলায়ে লয়ে যাও দূরে,
যৌবন-উৎসবে ধরা দাও দৃষ্টির বন্ধনে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪ (৩১ ভাদ্র ১৩৪১)। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৭৩ বৎসর ৫ মাস।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২), পর্যায়: প্রেম ৪৫, উপবিভাগ: প্রেম বৈচিত্র্য-১৮, পৃষ্ঠা: । [নমুনা]
শাপমোচন
[১৩৩৪ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে শান্তিনিকেতনে শাপমোচন অভিনয়কালে সংযোজিত]।
রবীন্দ্ররচনাবলী ২২ খণ্ড, বিশ্বভারতী [শাপমোচনের সংযোজন অংশের চতুর্থ গান]
স্বরবিতান ত্রিপঞ্চাশত্তম (৫৩) খণ্ড (বিশ্বভারতী, জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩), গান সংখ্যা: ১৭, পৃষ্ঠা ৪৮-৫০।
পত্রিকা:
প্রবাসী [ফাল্গুন ১৩৪১বঙ্গাব্দ]। শৈলজারঞ্জন মজুমদার -কৃত স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত।
প্রবাসী [শ্রাবণ ১৩৪২ বঙ্গাব্দ]। শৈলজারঞ্জন মজুমদার -কৃত সুরান্তর স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম: ১৩৩৪
বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে শান্তিনিকেতনে শাপমোচন অভিনয়কালে সংযোজিত হয়।
বর্তমানে প্রচলিত শাপমোচন-এ এই গানটি নাই।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ত্রিপঞ্চাশত্তম (৫৩) খণ্ডে (বিশ্বভারতী, জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩) গানটির দুটি স্বরলিপি পাওয়া যায়। কোনো স্বরলিপির সাথেই রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উভয় স্বরলিপি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে কাহারবা তালে নিবদ্ধ।
এই দুটি স্বরলিপির প্রথমটির রাগ : হেমন্ত। সুরান্তর : রাগ : বেহাগড়া [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান ।সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৬]
সুরান্তর রাগ: পঞ্চম বা সোহিনী। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৫।
রাগ: হেমন্ত। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৮।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর:
নধা। [প্রথম স্বরলিপি]
পা। [দ্বিতীয় স্বরলিপি]
লয়: মধ্য।