পুরানো জানিয়া চেয়ো না আমারে আধেক আঁখির কোণে অলস অন্যমনে।
আপনারে আমি দিতে আসি যেই জেনো জেনো সেই শুভ নিমেষেই
জীর্ণ কিছুই নেই কিছু নেই, ফেলে দিই পুরাতনে॥
আপনারে দেয় ঝরনা আপন ত্যাগরসে উচ্ছলি-
লহরে লহরে নূতন নূতন অর্ঘ্যের অঞ্জলি।
মাধবীকুঞ্জ বার বার করি বনলক্ষ্মীর ডালা দেয় ভরি-
বারবার তার দানমঞ্জরী নব নব ক্ষণে ক্ষণে॥
তোমার প্রেমে যে লেগেছে আমায় চির নূতনের সুর।
সব কাজে মোর সব ভাবনায় জাগে চিরসুমধুর।
মোর দানে নেই দীনতার লেশ, যত নেবে তুমি না পাবে শেষ-
আমার দিনের সকল নিমেষ ভরা অশেষের ধনে॥
তথ্যানুসন্ধান
ক.
রচনাকাল ও স্থান:
৯ ফাল্গুন ১৩৩৩।
শান্তিনিকেতন।
এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬৫ বৎসর ৬ মাস।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
গীতবিতান-এর প্রেম (প্রেম বৈচিত্র্য-৪৮) পর্যায়ের ৭৫ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান ত্রয়োদশ (১৩) খণ্ডের (জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩) ২৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ৮২-৮৫।
পত্রিকা:
মানসী ও মর্ম্মবাণী (ফাল্গুন ১৩৩৩)।
প্রবাসী (বৈশাখ ১৩৩৪), কষ্টিপাথর।
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ত্রয়োদশ (১৩) খণ্ডে (জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে কাহারবা তালে নিবদ্ধ।
রাগ: কীর্তনাঙ্গ।। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭০]
অঙ্গ: কীর্তন। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৫]
অঙ্গ: কীর্তন। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১২ ]