গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
নীল নবঘনে
আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:
নীল নবঘনে
আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে।
ওগো, আজ তোরা
যাস নে ঘরের বাহিরে॥
বাদলের ধারা ঝরে
ঝরো-ঝরো, আউষের ক্ষেত জলে ভরো-ভরো,
কালিমাখা
মেঘে ও পারে আঁধার ঘনিয়েছে দেখ্ চাহি রে॥
ওই শোনো শোনো
পারে যাবে ব’লে কে ডাকিছে বুঝি মাঝিরে।
খেয়া-পারাপার
বন্ধ হয়েছে আজি রে।
পুবে হাওয়া বয়,
কূলে নেই কেউ, দু কূল বাহিয়া উঠে পড়ে ঢেউ—
দরো-দরো বেগে
জলে পড়ি জল ছলো-ছল উঠে বাজি রে।
খেয়া-পারাপার
বন্ধ হয়েছে আজি রে॥
ওই ডাকে শোনো
ধেনু ঘন ঘন, ধবলীরে আনো গোহালে-
এখনি আঁধার হবে
বেলাটুকু পোহালে।
দুয়ারে দাঁড়ায়ে
ওগো দেখি্ দেখি,
মাঠে গেছে যারা তারা ফিরিছে কি,
রাখালবালক কী
জানি কোথায় সারা দিন আজি খোয়ালে।
এখনি আঁধার
হবে বেলাটুকু পোহালে॥
ওগো, আজ তোরা
যাস নে গো তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
আকাশ আঁধার,
বেলা বেশি আর নাহি রে।
ঝরো-ঝরো ধারে
ভিজিবে নিচোল, ঘাটে যেতে পথ হয়েছে পিছল-
ওই বেণুবন দোলে
ঘন ঘন পথপাশে দেখ্ চাহি রে॥
- পাণ্ডুলিপির পাঠ:
- পাঠভেদ: নাই।
- তথ্যানুসন্ধান:
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩০৭
বঙ্গাব্দের
১৮ জ্যৈষ্ঠ [বুধবার, ৩০ মে,
১৯০০ খ্রিষ্টাব্দ] রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং সেখানে পৌঁছান
১৯ জ্যৈষ্ঠে। ২০ জ্যৈষ্ঠে তিনি রচনা করেন আষাঢ় এবং নববর্ষা
নামক দুটি কবিতা। এই কবিতা দুটিকে তিনি পরে গানে পরিণত করেন। উল্লেখ্য, এর
ভিতরে 'আষাঢ়'
শিরোনামের কবিতাটিও হলো- এই গানটি। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর
১ মাস।
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ
-
কাব্যগ্রন্থ ৩য় ভাগ, প্রকৃতিগাথা, পৃ. ১০৮।
-
ক্ষণিকা, আষাঢ়।
রবীন্দ্র-রচনাবলী সপ্তমখন্ড, বিশ্বভারতী (শ্রাবণ ১৩৯৩ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা-২৮৭।
-
গীতবিতানের প্রকৃতি
(উপ-বিভাগ :
বর্ষা-৮৩)
পর্যায়ের ১০৮
সংখ্যক গান।
-
স্বরবিতান
ঊনষষ্টিতম
(৫৯)
খণ্ডের
(জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
১৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৪০-৪৪।
-
স্বরবিতান
ঊনষষ্টিতম (২৫ বৈশাখ
১৩৭১
বঙ্গাব্দ)।
শৈলজারঞ্জন মজুমদার-কৃত স্বরলিপি সহ মুদ্রিত।
- পত্রিকা:
-
বিশ্বভারতী পত্রিকা ৪-৬ (১৩৭০
বঙ্গাব্দ)। শৈলজারঞ্জন মজুমদার-কৃত স্বরলিপি সহ মুদ্রিত।
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি:
- স্বরলিপিকার:
শৈলজারঞ্জন মজুমদার।
-
১.
গীতবিতান ১ম সংস্করণ ১৩৩৮ আশ্বিন পর্যন্ত গানটির কোনো গীতরূপ পাওয়া যায়নি।
গীতরূপ পাওয়া যায় গীতবিতান বিরল
সংস্করণের
প্রকৃতি পর্যায়ের বর্ষা অংশে (১৩৪৬ বঙ্গাব্দ)
।
- ২. শান্তিদেব ঘোষ তাঁর 'রবীন্দ্র সঙ্গীত' গ্রন্থে
এই গানটির বিষয়ে উল্লেখ করেন যে, " 'নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে' ও 'হৃদয় আমার
নাচেরে আজিকে'তে সুর দেওয়া হয় ১৩৪২ সালে। দুইটি মিশ্র ইমনকল্যাণ রাগিণীর গান।
দুটিকে পাশাপাশি রেখে গাইলে ইমনের দুটি ভিন্ন রূপ প্রকাশ পায়—
একটি ধীর গম্ভীর, অপরটি চঞ্চল প্রাণবান।"
-
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান
ঊনষষ্টিতম
(৫৯)
খণ্ডের (জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি
২।২
মাত্রা ছন্দে ইমন তালে নিবদ্ধ।
-
রাগ: ইমন কল্যাণ।
তাল: ২+২ ছন্দ।
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর, ২০০৬)]। পৃষ্ঠা: ৬৩
-
রাগ:
ইমন-ভূপালী। তাল: কাহারবা
২+২ ছন্দ।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ১১০
গ্রহস্বর:
পা।
লয়: মধ্য।