হৃদয় আমার নাচে রে আজিকে ময়ূরের মতো নাচে রে।
শত বরনের ভাব-উচ্ছ্বাস কলাপের মতো করেছে বিকাশ,
আকুল পরান আকাশে চাহিয়া উল্লাসে কারে যাচে রে॥
ওগো, নির্জনে বকুলশাখায় দোলায় কে আজি দুলিছে, দোদুল দুলিছে॥
ঝরকে ঝরকে ঝরিছে বকুল, আঁচল আকাশে হতেছে আকুল,
উড়িয়া অলক ঢাকিছে পলক- কবরী খসিয়া খুলিছে।
ঝরে ঘনধারা নবপল্লবে, কাঁপিছে কানন ঝিল্লির রবে-
তীর ছাপি নদী কলকল্লোলে এল পল্লির কাছে রে॥
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের কালানুক্রম:
গীতবিতান ১ম সংস্করণ (আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত
গানটির কোনো গীতরূপ পাওয়া যায়নি। গীতরূপ পাওয়া যায় গীতবিতান বিরল সংস্করণের প্রকৃতি
পর্যায়ের বর্ষা অংশে (১৩৪৬ বঙ্গাব্দ)।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার।
সুর ও তাল:
শান্তিদেব ঘোষ তাঁর 'রবীন্দ্র সঙ্গীত' গ্রন্থে এই গানটির বিষয়ে উল্লেখ করেন যে, " 'নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে' ও 'হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে'তে সুর দেওয়া হয় ১৩৪২ সালে। দুইটি মিশ্র ইমনকল্যাণ রাগিণীর গান। দুটিকে পাশাপাশি রেখে গাইলে ইমনের দুটি ভিন্ন রূপ প্রকাশ পায়— একটি ধীর গম্ভীর, অপরটি চঞ্চল প্রাণবান।"
স্বরবিতান অষ্টপঞ্চাশত্তম (৫৮) খণ্ডের (জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ২।২ মাত্রা ছন্দে ইমন তালে নিবদ্ধ।
রাগ : ইমন কল্যাণ। তাল: ২+২ ছন্দ। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৪।
রাগ: ইমন। তাল: কাহারবা ২+২। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৬।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: র্সা।
লয়: মধ্য।