বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আজ বরষার রূপ
হেরি মানবের মাঝে
পাঠ ও পাঠভেদ:
আজ বরষার রূপ হেরি মানবের মাঝে-
চলেছে গরজি, চলেছে নিবিড় সাজে॥
হৃদয়ে তাহার নাচিয়া উঠিছে ভীমা,
ধাইতে ধাইতে লোপ ক’রে চলে সীমা,
কোন্ তাড়নায় মেঘের সহিত মেঘে
বক্ষে বক্ষে মিলিয়া বজ্র বাজে॥
পুঞ্জে পুঞ্জে দূরে সুদূরের পানে
দলে দলে চলে, কেন চলে নাহি জানে।
জানে না কিছুই কোন্ মহাদ্রিতলে
গভীর শ্রাবণে গলিয়া পড়িবে জলে,
নাহি জানে তার ঘনঘোর সমারোহে
কোন্ সে ভীষণ জীবন মরণ রাজে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 478
পাণ্ডুলিপিতে গানটির নিচে
তারিখ উল্লেখ আছে- '১১ই
আষাঢ়'।
১৩১৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত ‘গীতাঞ্জলি’-তে গানটির সাথে রচনার তারিখ উল্লেখ আছে-
'১১ই
আষাঢ়/১৩১৭'।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৯ বৎসর ২ মাস।
উল্লেখ্য,
ডঃ দেবজ্যোতি দত্ত মজুমদারের
রচিত 'রবীন্দ্রসংগীতের ক্রমবিকাশ ও বিবর্তন'
(ডিসেম্বর ১৯৮৭) গ্রন্থে এই গানটি রচনার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে লিখেছেন- 'আজ বরষার
রূপ হেরি মানবের মাঝে' —প্রকৃতি
পর্যায়ের এই গানটি ১১ আষাঢ় ১৩১৭ সালে রচিত। তার আগের দিন রবীন্দ্রনাথের কনিষ্ঠ
পুত্র শমীন্দ্রনাথের বন্ধু সন্তোষচন্দ্র মজুমদারের কনিষ্ঠ ভ্রাতা সরোজচন্দ্র
আকস্মিকভাবে হৃদ্রোগে মারা যান। তাঁর মৃত্যু উপলক্ষে এই গানটি রচিত হয়।