বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
ওগো তুমি পঞ্চদশী
পাঠ ও পাঠভেদ:
ওগো তুমি পঞ্চদশী,
পৌছিলে পূর্ণিমাতে।
মৃদুস্মিত স্বপ্নের আভাস তব বিহ্বল রাতে॥
ক্বচিৎ জাগরিত বিহঙ্গকাকলী
তব নবযৌবনে উঠিছে আকুলি ক্ষণে ক্ষণে।
প্রথম আষাঢ়ের কেতকীসৌরভ তব নিদ্রাতে॥
যেন অরণ্যমর্মর
গুঞ্জরি উঠে তব বক্ষে থরথর।
অকারণ বেদনার ছায়া ঘনায় মনের দিগন্তে,
ছলোছলো জল এনে দেয় তব নয়নপাতে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [১০৭ পাণ্ডুলিপি]
পাঠভেদ:
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩৪৬ বঙ্গাব্দ
।
গানটি
রবীন্দ্রনাথের
৭৮ বৎসর বয়সের
রচনা।
গানটির স্বতন্ত্র কাব্যরূপ রয়েছে; 'সানাই' কাব্যগ্রন্থে যেটি 'পূর্ণা'
শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এক্ষেত্রে গানটি প্রথমে এবং পরে কবিতা রচিত হয়।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
গীতবিতানের প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বর্ষা-১১৪) পর্যায়ের ১৪০ সংখ্যক গান।
সানাই, পূর্ণা (আষাঢ় ১৩৪৭ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান অষ্টপঞ্চাশত্তম (৫৮) খণ্ডের (জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ১৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫২-৫৩।
পরিবেশনা: ১৩৪৬ বঙ্গাব্দের ১০ই ভাদ্র শান্তিনিকেতনে উদযাপিত বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠানে এই গানটি পরিবেশিত হয়।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
রাগ ও তাল:
স্বরবিতান অষ্টপঞ্চাশত্তম (৫৮) খণ্ডের (জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে কাহারবা তালে নিবদ্ধ।
রাগ: পিলু। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪১]
গ্রহস্বর: পা।
লয়: মধ্য।