বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
ওগো
শেফালিবনের মনের কামনা
পাঠ
ও পাঠভেদ:
ওগো শেফালিবনের মনের কামনা,
কেন সুদূর গগনে গগনে
আছ মিলায়ে পবনে পবনে।
কেন কিরণে কিরণে ঝলিয়া।
যাও শিশিরে শিশিরে গলিয়া।
কেন চপল আলোতে ছায়াতে
আছ লুকায়ে আপন মায়াতে।
তুমি মুরতি ধরিয়া চকিতে নামো-না,
ওগো শেফালিবনের মনের কামনা॥
আজি মাঠে মাঠে চলো বিহরি,
তৃণ উঠুক শিহরি শিহরি।
নামো তালপল্লববীজনে,
নামো জলে ছায়াছবিসৃজনে।
এসো সৌরভ ভরি আঁচলে,
আঁখি আঁকিয়া সুনীল কাজলে।
মম চোখের সমুখে ক্ষণেক থামো-না,
ওগো শেফালিবনের মনের কামনা॥
ওগো সোনার স্বপন, সাধের সাধনা,
কত আকুল হাসি ও রোদনে,
রাতে দিবসে স্বপনে বোধনে
জ্বালি জোনাকি প্রদীপমালিকা,
ভরি নিশীথতিমিরথালিকা,
প্রাতে কুসুমের সাজি সাজায়ে,
সাঁজে ঝিল্লি-ঝাঁঝর বাজায়ে,
কত করেছে তোমার স্তুতি-আরাধনা,
ওগো সোনার স্বপন, সাধের সাধনা॥
ওই বসেছ শুভ্র আসনে
আজি নিখিলের সম্ভাষণে।
আহা শ্বেতচন্দনতিলকে
আজি তোমারে সাজায়ে দিল কে।
আহা বরিল তোমারে কে আজি
তার দুঃখশয়ন তেয়াজি―
তুমি ঘুচালে কাহার বিরহকাঁদনা,
ওগো সোনার স্বপন, সাধের সাধনা॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩১৬
শান্তিনিকেতন।
গানটি
রবীন্দ্রনাথের
৪৮ বৎসর বয়সের
রচনা।
প্রথম স্বরলিপি: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [গীতলেখা ৩ (১৩০৭ বঙ্গাব্দ) এবং স্বরবিতান পঞ্চাশত্তম (৫০, শেফালি) খণ্ডে (ভাদ্র ১৩২৬ বঙ্গাব্দ)]
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপধ্যায়। [গীতলিপি ৬, ১৯১০-১৯১৮ খ্রীষ্টাব্দ]
ইন্দিরা দেবী। [আনন্দ সঙ্গীত পত্রিকা (ভাদ্র ১৩২২ বঙ্গাব্দ)]
রাগ: ভৈরবী। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৭৬।]
চ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী :