বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমার বনে বনে ধরল মুকুল
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার বনে বনে ধরল মুকুল,
বহে মনে মনে দক্ষিণহাওয়া।
মৌমাছিদের ডানায় ডানায়
যেন উড়ে মোর উৎসুক চাওয়া॥
গোপন স্বপনকুসুমে কে এমন সুগভীর রঙ দিল এঁকে―
নব কিশলয়শিহরনে ভাবনা আমার হল ছাওয়া॥
ফাল্গুনপূর্ণিমাতে
এই দিশাহারা রাতে
নিদ্রাবিহীন গানে কোন্ নিরুদ্দেশের পানে
উদ্বেল গন্ধের জোয়ারতরঙ্গে হবে মোর তরণী বাওয়া॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
Ms.477।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
এই গানটির রচনা সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায় প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় রচিত
'রবীন্দ্রজীবনী' (অগ্রহায়ন ১৩৭১ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা-৮) গ্রন্থে যা নিম্নে তুলে ধরা
হলো-
"
শান্তিনিকেতনে প্রত্যাবর্তনের পক্ষকাল-মধ্যে আশ্রমের বসন্ত-উৎসব উদযাপিত হইল। (২০
মার্চ ১৯৩৫॥
৫ চৈত্র ১৩৪১)। প্রাতে
আম্রকুঞ্জে উৎসব ; কবি স্বয়ং 'ফাল্গুনী' নাটক হইতে কিয়দংশ পাঠ করিলেন, তৎপূর্বে
বসন্ত-উৎসবের মর্মকথা ব্যাখ্যান করেন। সন্ধ্যার পরে আম্রকুঞ্জে নৃত্যগীতাদির
ব্যবস্থা হয়। সেদিন কবি 'বসন্ত' কবিতা আবৃত্তি ও সদ্য-রচিত দুইটি গান স্বয়ং গাহিয়া
শোনাইলেন। গান দুইটি―
আমার বনে বনে ধরল মুকুল
ওগো বধু সুন্দরী, তুমি মধুমঞ্জুরী "
এ বিচারে বলা যায়, গানটি
রবীন্দ্রনাথের
৭৪ বৎসর ১১ মাস বয়সের
রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)।
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)।প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বসন্ত-১৩) পর্যায়ের ২০০ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান চতুঃপঞ্চাশত্তম (৫৪) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ১৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫১-৫৩।
পত্রিকা:
বিচিত্র (বৈশাখ ১৩৪২ বঙ্গাব্দ)। শান্তিদেব ঘোষ-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
রাগ: বাহার। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৫৭।]