বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
দখিন-হাওয়া
জাগো জাগো
পাঠ ও পাঠভেদ:
দখিন-হাওয়া জাগো জাগো, জাগাও আমার সুপ্ত এ প্রাণ।
আমি বেণু, আমার শাখায় নীরব যে হায় কত-না গান। জাগো জাগো॥
পথের ধারে আমার কারা ওগো পথিক বাঁধন-হারা,
নৃত্য তোমার চিত্তে আমার মুক্তি-দোলা করে যে দান। জাগো জাগো॥
গানের পাখা যখন খুলি বাধা-বেদন তখন ভুলি।
যখন আমার বুকের মাঝে তোমার পথের বাঁশি বাজে,
বন্ধ ভাঙার ছন্দে আমার মৌন-কাঁদন হয় অবসান। জাগো জাগো॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ: স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) পাঠভেদ অংশে এই গানটির একটি পাঠভেদ দেয়া আছে-
দখিন-হাওয়া,
জাগো, জাগো
নৃত্য
তোমার চিত্তে আমার : নাট্য, বসন্ত
কথার অংশ ও স্বরলিপি, বসন্ত (১৩৩০)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
নৃত্য তোমার
চিত্তে আমার
: সুরান্তর-স্বরলিপি, বসন্ত (১৩৩০)
যখন
আমার বুকের মাঝে : নাট্য, বসন্ত
স্বরলিপি, বসন্ত (১৩৩০)
তখন আমার বুকের মাঝে : কথার অংশ, বসন্ত (১৩৩০)
সুরান্তর-স্বরলিপি, বসন্ত (১৩৩০)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
ক. রচনাকাল ও স্থান:
৫ ফাল্গুন
১৩২৯ বঙ্গাব্দ [১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩]। শান্তিনিকেতন।
গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬১
বৎসর
১০ মাস বয়সের রচনা।
গীতবিতানন-এর প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বসন্ত ৩১) পর্যায়ের ২১৮ সংখ্যক গান।
ঋতু-উৎসব (১৩৩৩)। বসন্ত -অংশে মুদ্রিত।
বসন্ত (ফাল্গুন ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)। বেনুবনের গান। রবীন্দ্ররচনাবলী পঞ্চদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, ভাদ্র ১৩৯৩ সংস্করণ)
স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ৬ সংখ্যক গান। বাণী অংশ : পৃষ্ঠা ১৫। স্বরলিপি অংশ : পৃষ্ঠা ৪৫-৪৮।
পত্রিকা:
সবুজপত্র [চৈত্র ১৩২১। ফাল্গুনী। ১ (প্রথম ভাগ), নবীনের আবির্ভাব। বেণুবনের গান। পৃষ্ঠা আ] [নমুনা]
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ড (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)]
সুর ও তাল: স্বরবিতান
ষষ্ঠ (৬,
বসন্ত)
খণ্ডে
গৃহীত স্বরলিপিতে গানটির দুটি সুর পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রথম সুরটি অধিক প্রচলিত
এবং অপর সুরটিতে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং গান গেয়েছিলেন।
[স্বরবিতান
ষষ্ঠ (৬,
বসন্ত)
খণ্ডে
(চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)] স্বরবিতান
ষষ্ঠ (৬,
বসন্ত)
খণ্ডে
(চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
গৃহীত
স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। গানটি ৪।৪ ছন্দে
কাহারবা
তালে নিবদ্ধ।
উল্লেখ্য,
. তুলনীয় সুরে আরেকটি গান পাওয়া
যায়
স্বরবিতান সপ্তম (৭,
ফাল্গুনী)
খণ্ডের 'ওগো দখিন হাওয়া' শিরোনামে।
সুরান্তর। রাগ : বেহাগ/পরজ। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৫৮
রাগ: বেহাগ। সুরান্তর: রাগ: ভৈরব, ভৈরবী। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১০১