না, যেয়ো না, যেয়ো নাকো।
মিলনপিয়াসী মোরা— কথা রাখো, কথা রাখো॥
আজো বকুল আপনহারা, হায় রে, ফুল-ফোটানো হয় নি সারা,
সাজি ভরে নি—
পথিক ওগো, থাকো থাকো॥
চাঁদের চোখে
জাগে নেশা,
তার আলো গানে
গন্ধে মেশা।
দেখো চেয়ে কোন্ বেদনায় হায় রে মল্লিকা ওই যায় চলে যায়
অভিমানিনী—
পথিক, তারে ডাকো ডাকো॥
পাঠভেদ:
ক. রচনাকাল ও স্থান: ২৯ মাঘ
১৩২৯ বঙ্গাব্দ [১২ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩]। শান্তিনিকেতন।
গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬১
বৎসর
৯ মাস বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
ঋতু-উৎসব [বিশ্বভারতী। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। বসন্ত। ঝুমকোলতার গান। পৃষ্ঠা ১২৪][নমুনা]
গীতবিতান-এর প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বসন্ত ৪২) পর্যায়ের ২২৯ সংখ্যক গান।
বসন্ত (ফাল্গুন ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)। ঝুমকোলতা-এ গান। রবীন্দ্ররচনাবলী পঞ্চদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, ভাদ্র ১৩৯৩ সংস্করণ)
শাপমোচন (চৈত্র ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ সংস্করণ)।
স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ডের (সংস্করণ চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ১৯ সংখ্যক গান। বাণী অংশ : পৃষ্ঠা ২৭। স্বরলিপি অংশ : পৃষ্ঠা ৮৫-৮৬।
প্রাসঙ্গিক পাঠ :
১. ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৫-১৬ পৌষে
রবীন্দ্রজয়ন্তী ছাত্রছাত্রী পরিষদ উৎসব পরিষৎ কর্তৃক শাপমোচন নাটকে গানটি অভিনীত
হয়।
২. ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের ১৩ ও ১৫ মাঘে জোড়াসাঁকোয় মাঘোৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠিত 'সুন্দর'
নামক অনুষ্ঠানে এই গানটি পরিবেশিত হয়।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ড (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। গানটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে কাহারবা তালে নিবদ্ধ।
রাগ : পিলু। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৬২]
গ্রহস্বর- র্সার্রা।
লয়- মধ্য।