বেদনা কী ভাষায় রে
মর্মে মর্মরি গুঞ্জরি বাজে॥
সে বেদনা সমীরে সমীরে সঞ্চারে,
চঞ্চল বেগে বিশ্বে দিল দোলা॥
দিবানিশা আছি নিদ্রাহরা বিরহে
তব নন্দনবন-অঙ্গনদ্বারে,
মনোমোহন বন্ধু―
আকুল প্রাণে
পারিজাতমালা সুগন্ধ হানে॥
ক. গীতবিতানের প্রকৃতি
(উপ-বিভাগ :
বসন্ত ৫৯)
পর্যায়ের ২৪৬ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান
পঞ্চম
(৫)
খণ্ডের (ভাদ্র
১৪১৪ বঙ্গাব্দ)
২৬ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৬৩-৬৪।
খ. প্রকাশ ও
গ্রন্থভুক্তি :
১.
নবীন
(ফাল্গুন ১৩৩৭
বঙ্গাব্দ)।
দ্বিতীয় পর্ব,
প্রথম গান।
রবীন্দ্ররচনাবলী
দ্বাবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আষাঢ় ১৩৯৩)।
পৃষ্ঠা ৮৪ক।
২.
বনবাণী
গ্রন্থে পুনরায় প্রকাশ (আশ্বিন
১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)।
গ.
রচনাকাল ও স্থান :
ফাল্গুন ১৩৩৭
বঙ্গাব্দ।
গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬৯ বৎসর ১০ মাস বয়সের রচনা।
ঘ. প্রাসঙ্গিক
পাঠ:
১. এটি একটি ভাঙা গান। ইন্দিরাদেবী তাঁর 'রবীন্দ্রসঙ্গীতের
ত্রিবেণী সংগম' গ্রন্থে মূল গানটিকে 'দক্ষিণী' উল্লেখ করেছেন।
মূলগানটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
২.
শান্তিনিকেতনের ছাত্রী
সাবিত্রী গোবিন্দের কণ্ঠে বিভিন্ন দক্ষিন ভারতীয় গান শুনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেসব
গান রচনা করেন তার মধ্যে তিনটি গানের স্বরলিপি এই পঞ্চম খন্ডের স্বরবিতানে (ভাদ্র
১৪১৪ বঙ্গাব্দ)
মুদ্রিত হয়; এই গানটি তার অন্তর্ভূক্ত।
ঙ. স্বরলিপিকার :
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর [স্বরবিতান পঞ্চম খণ্ড (ভাদ্র ১৪১৪ বঙ্গাব্দ)]।
চ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরবিতান
পঞ্চম
(ভাদ্র ১৪১৪ বঙ্গাব্দ)-এ
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের কোন উল্লেখ নেই। উক্ত
স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা
ছন্দে
কাহারবা তালে নিবদ্ধ।
রাগ:
খাম্বাজ।
তাল:
কাহারবা।
[রবীন্দ্রসংগীত
: রাগ-সুর নির্দেশিকা।
সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
জানুয়ারি ১৯১৩)]।
গ্রহস্বর :
মা।
লয় : মধ্য।