পাঠ ও পাঠভেদ:
চক্ষে আমার তৃষ্ণা ওগো, তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে।
আমি বৃষ্টিবিহীন বৈশাখী দিন, সন্তাপে প্রাণ যায় যে পুড়ে॥
ঝড় উঠেছে তপ্ত হাওয়ায়, মনকে সুদুর শূন্যে ধাওয়ায়-
অবগুণ্ঠন যায় যে উড়ে॥
যে ফুল কানন করত আলো
কালো হয়ে সে শুকালো।
ঝরনারে কে দিল বাধা- নিষ্ঠুর পাষাণে বাঁধা
দুঃখের শিখরচূড়ে॥
গানটি রবীন্দ্রনাথের ৭২ বৎসর ৪ মাস বয়সের রচনা।
গীতবিতানের প্রকৃতি (গ্রীষ্ম-১৬) পর্যায়ের ২৫ সংখ্যক গান।
গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্য পর্যায়ের চণ্ডালিকা নৃত্যনাট্যের দ্বিতীয় দৃশ্যে প্রকৃতির গান। পৃষ্ঠা ৭২১।
চণ্ডালিকা (ভাদ্র ১৩৪০ বঙ্গাব্দ)। প্রথম দৃশ্য, প্রকৃতি'র গান। রবীন্দ্ররচনাবলী ত্রয়োবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা: ১৩৮।
নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা (ফাল্গুন ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ)। দ্বিতীয় দৃশ্য, প্রকৃতির গান। রবীন্দ্ররচনাবলী পঞ্চবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৬৮।
স্বরবিতান অষ্টাদশ (চণ্ডালিকা) খণ্ড (চৈত্র ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান অষ্টাদশ (১৮, চণ্ডালিকা) খণ্ডের (পৌষ ১৪১২ বঙ্গাব্দ) গান। বাণী অংশ : ১৭। বাণী অংশ : ৭৪-৭৫।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান অষ্টাদশ (১৮, চণ্ডালিকা) খণ্ডের (পৌষ ১৪১২ বঙ্গাব্দ) গৃহীত মূল স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ২।৩ মাত্রা ছন্দে 'ঝাঁপতাল' তালে নিবদ্ধ।
রাগ: বৃন্দাবনী সারং-আড়ানা। তাল: ঝাঁপতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।] পৃষ্ঠা: ৪৯
গ্রহস্বর: সা।