বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
আমার মালার ফুলের দলে
আছে লেখা বসন্তের মন্ত্রলিপি।
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার মালার ফুলের দলে আছে লেখা বসন্তের মন্ত্রলিপি।
এর মাধুর্যে আছে যৌবনের আমন্ত্রণ।
সাহানা রাগিণী এর রাঙা রঙে রঞ্জিত,
মধুকরের ক্ষুধা অশ্রুর ছন্দে গন্ধে তার গুঞ্জরে॥
আন্ গো ডালা গাঁথ্ গো মালা,
আন্ মাধবী মালতী অশোকমঞ্জরী, আয় তোরা আয়।
আন্ করবী রঙ্গন কাঞ্চন রজনীগন্ধা প্রফুল্লমল্লিকা, আয় তোরা আয়।
মালা পর গো মালা পর্ সুন্দরী―
ত্বরা কর্ গো ত্বরা কর্।
আজি পূর্ণিমারাতে জাগিছে চন্দ্রমা,
বকুলকুঞ্জ দক্ষিণবাতাসে দুলিছে কাঁপিছে
থরোথরো মৃদু মর্মরি।
নৃত্যপরা বনাঙ্গনা বনাঙ্গনে সঞ্চরে,
চঞ্চলিত চরণ ঘেরি মঞ্জীর তার গুঞ্জরে আহা।
দিস নে মধুরাতি বৃথা বহিয়ে উদাসিনী হায় রে।
শুভলগন গেলে চলে ফিরে দেবে না ধরা―
সুধাপসরা ধুলায় দেবে শূন্য করি, শুকাবে বঞ্জুলমঞ্জরী।
চন্দ্রকরে অভিষিক্ত নিশীথে ঝিল্লিমুখর বনছায়ে
তন্দ্রাহারাপিকবিরহকাকলি-কূজিত দক্ষিণবায়ে
মালঞ্চ মোর ভরল ফুলে ফুলে ফুলে গো
কিংশুকশাখা চঞ্চল হল দুলে দুলে দুলে গো॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
ক. রচনাকাল ও স্থান:
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ
গীতবিতান
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। চণ্ডালিকা ও প্রকৃতি পর্যায়ের ২৭১
- চণ্ডালিকা
- নৃত্যনাট্য প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী গ্রন্থালয়। ফাল্গুন ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ। প্রথম দৃশ্য। ফুলওয়ালির গান। পৃষ্ঠা: ১-২] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
স্বরবিতান অষ্টাদশ (১৮,চণ্ডালিকা) (চৈত্র ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ) খণ্ডের গান। পৃষ্ঠা ৩৬-৪২।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার।
রাগ ও তাল:
স্বরবিতান অষ্টাদশ খণ্ডের (পৌষ ১৪১২ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি দুইটি তালে নিবদ্ধ;যথা- দাদরা এবং কাহারবা/ খেমটা।
[স্বরলিপি]রাগ: কালাংড়া-বাহার-পিলু-মুলতান। তাল: খেমটা/কাহারবা [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।। পৃষ্ঠা: ৩০]।
রাগ: কালেংড়া, ভৈরবী, বাহার, পীলু, কাফি, মুলতান, ভীমপলশ্রী। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৫৮।]
গ্রহস্বর-মা। লয়-মধ্য।