বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আজ শ্রাবণের
পূর্ণিমাতে
পাঠ ও পাঠভেদ:
গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: প্রকৃতি (উপ-বিভাগ: বর্ষা-৫৬) পর্যায়ের ৮১ সংখ্যক গান।
আজ শ্রাবণের পূর্ণিমাতে কী এনেছিস বল্—
হাসির কানায় কানায় ভরা নয়নের জল॥
বাদল-হাওয়ার দীর্ঘশ্বাসে যূথীবনের বেদন আসে—
ফুল-ফোটানোর খেলায় কেন ফুল-ঝরানোর ছল।
ও তুই কী এনেছিস বল্॥
ওগো, কী আবেশ হেরি চাঁদের চোখে,
ফেরে সে কোন্ স্বপন-লোকে।
মন বসে রয় পথের ধারে, জানে না সে পাবে কারে-
আসা-যাওয়ারা আভাস ভাসে বাতাসে চঞ্চল।
ও তুই কী এনেছিস বল্॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
Ms. 464
পাঠভেদ:
এই গানটির
একটি পাঠভেদ রয়েছে; যা নিম্নরূপ—
আজ শ্রাবণের পূর্ণিমাতে
হাসির কানায়
কানায় ভরা
নয়নের জল
: গীত-মালিকা ২ (পৌষ
১৩৩৬ বঙ্গাব্দ)
হাসির কানায়
কানায় ভরা
কোন নয়নের জল :
গীতবিতান ৩ (শ্রাবণ ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ)
ওগো কী আবেশ
হেরি চাঁদের চোখে :
স্বরলিপি,
গীত-মালিকা ২ (পৌষ
১৩৩৬ বঙ্গাব্দ)
কী আবেশ হেরি চাঁদের চোখে
: কথার অংশ ,গীতমালিকা
২
(পৌষ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ)
গীতবিতান ৩ (শ্রাবণ ১৩৩৯
বঙ্গাব্দ)।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩৩২ বঙ্গাব্দ। গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬৪ বৎসর বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
শান্তিনিকেতন পত্রিকা (কার্তিক ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
সঙ্গীত-বিজ্ঞান (ভাদ্র ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ)।
সবুজপত্র (কার্তিক ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান একত্রিংশ (৩১, গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডে (পৌষ ১৪১২ বঙ্গাব্দ) গৃহীত মূল স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
রাগ: বেহাগ। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ২৫]।
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্যম।