বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম: এসো হে এসো সজল ঘন বাদলবরিষন
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:
এসো হে এসো সজল ঘন বাদলবরিষনে—
বিপুল তব শ্যামল স্নেহে এসো হে এ জীবনে॥
এসো হে গিরিশিখর চুমি ছায়ায় ঘিরি কাননভূমি,
গগন ছেয়ে এসো হে তুমি গভীর গরজনে॥
ব্যথিয়া উঠে নীপের বন পুলক-ভরা ফুলে,
উছলি উঠে কলরোদন নদীর কূলে কূলে।
এসো হে এসো হৃদয়-ভরা, এসো হে এসো পিপাসাহরা,
এসো হে আঁখি শীতল-করা, ঘনায়ে এসো মনে॥
-
পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩১৬
বঙ্গাব্দের
৩০শে শ্রাবণ, রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহ থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন। এরপর ৭ই ভাদ্র [সোমবার, ২৩
আগষ্ট ১৯০৯] তিনি
কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে আসেন এবং ১৮শে ভাদ্র পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে কাটান।
এই সময় তিনি এই গানটি-সহ মোট ১৮টি গান রচনা করেছিলেন।
RBVBMS 478
পাণ্ডুলিপিতে লিখিত গানটির নিচে শুধু উল্লেখ আছে- '১৭ই
ভাদ্র'। গানটি রবীন্দ্রনাথের ৪৮ বৎসর
৪ মাস বয়সের রচনা।
-
খ.প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কেতকী
(শ্রাবণ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
- গান (১৩২১
বঙ্গাব্দ)।
-
গীতবিতানের প্রকৃতি
(উপ-বিভাগ :
বর্ষা-৭৪)
পর্যায়ের ৯৯ সংখ্যক গান।
-
গীতলিপি (৩য় ভাগ)
(১৯১০-১৯১৮ সাল)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপধ্যায় -কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
-
গীতাঞ্জলি ৩৫ সংখ্যক গান (শ্রাবণ
১৩১৭ বঙ্গাব্দ)।
-
গীতিচর্চ্চা
(পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পাদিত।
- ধর্মসঙ্গীত ১৯১৪/১০ সুরের উল্লেখ নেই।
-
সংগীত গীতাঞ্জলী
(১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
-
স্বরবিতান
একাদশ (১১,
কেতকী)
খণ্ডের (আশ্বিন ১৪১৬ বঙ্গাব্দ)
১১ গান। পৃষ্ঠা ৩৭-৩৯।
- পত্রিকা:
মানসী ১ম বর্ষ
৯ম সংখ্যা ১৩১৬ কার্তিক ৩৯৪ 'আবাহন' নামে প্রকাশিত।
-
গ.সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার:
স্বরবিতান ১১ খণ্ডটি প্রথম
প্রকাশিত হয় ১৩২৬ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে। এই সংস্করণে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত
স্বরলিপি গৃহীত হয়েছিল।পরবর্তীতে
গীতলিপি
৩য় ভাগে
(১৯১০-১৯১৮ সাল) এই গানটির
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়। এছাড়া সংগীত গীতাঞ্জলীতে
(১৩৩৪ বঙ্গাব্দ) গানটি ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়।
-
স্বরবিতান
একাদশ
(১১,
কেতকী) খণ্ডে
(আশ্বিন ১৪১৬ বঙ্গাব্দ)
গৃহীত মূল স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি
২।৩
মাত্রা ছন্দে ঝাঁপতাল
তালে নিবদ্ধ।
-
রাগ:
গৌড় মল্লার।
তাল: ঝাঁপতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩৯]
-
রাগ:
গৌড়মল্লার। তাল: ঝাঁপতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৭২।]
-
গ্রহস্বর:
রা।
লয়: মধ্য।