বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
যেথায় থাকে
সবার অধম দীনের হতে দীন
পাঠ ও পাঠভেদ:
যেথায় থাকে সবার অধম দীনের হতে দীন
সেইখানে যে চরণ তোমার রাজে
সবার পিছে, সবার নীচে, সবহারাদের মাঝে॥
যখন তোমায় প্রণাম করি আমি প্রণাম আমার কোন্খানে যায় থামি।
তোমার চরণ যেথায় নামে অপমানের তলে
যেথায় আমার প্রণাম নামে না যে
সবার পিছে, সবার নীচে, সবহারাদের মাঝে॥
অহঙ্কার তো পায় না নাগাল যেথায় তুমি ফের
রক্তভূষণ দীন দরিদ্র সাজে
সবার পিছে, সবার নীচে, সবহারাদের মাঝে॥
ধনে মানে যেথায় আছে ভরি সেথায় তোমার সঙ্গ আশা করি,
সঙ্গী হয়ে আছ যেথায় সঙ্গীহীনের ঘরে
সেথায় আমার হৃদয় নামে না যে
সবার পিছে, সবার নীচে, সবহারাদের মাঝে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি Ms. 357-তে গানটি পাওয়া যায়। [পাণ্ডুলিপি]
পাঠভেদ: স্বরবিতান-৩৮'এর ৯৫ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত পাঠভেদ অনুসারে নিচের পাঠভেদ দেখানো হলো।
ধনে মানে যেথায় আছে ভরি
সেথায় তোমার সঙ্গ আশা করি—
এই পংক্তি দুইটি পূর্বে 'গীতাঞ্জলি' গ্রন্থে (১৩১৭-১৩৪৬ সাল পর্যন্ত) গীতবিতানে (আশ্বিন ১৩৩৮ ও ভাদ্র ১৩৪৫) মুদ্রিত ছিল না। পরে রবীন্দ্র-পাণ্ডুলিপিতে পংক্তিগুলি আবিষ্কৃত হওয়ায় 'গীতাঞ্জলি'র ২৫ বৈশাখ ১৩৪৯ সংস্করণে এবং প্রথমখণ্ড গীতবিতান জ্যৈষ্ঠ ১৩৫৮ মুদ্রণে অন্তর্ভুক্ত হয়। 'গীতাঞ্জলী' গ্রন্থে কবি-কৃত পাণ্ডুলিপির চিত্র আছে।
উল্লেখ্য এই কারণে,
সঙ্গীত
গীতাঞ্জলি (১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ)-এ গৃহীত
ভীমরাও শাস্ত্রীকৃত স্বরলিপিতে উক্ত দুই ছত্রের
স্বরলিপি নাই।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৯ আষাঢ় ১৩১৭ বঙ্গাব্দ। বোলপুর। রবীন্দ্রনাথের ৪৯ বৎসর ২ মাস বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
গীতবিতানের পূজা (উপ-বিভাগ : বিবিধ-১১৫) পর্যায়ের সংখ্যক গান।
গীতাঞ্জলি (শ্রাবণ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ)। ১০৭ সংখ্যক গান। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ৮৪।
সঙ্গীত গীতাঞ্জলি (১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ)। ভৈরবী-দাদরা। ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
স্বরবিতান অষ্টত্রিংশ (৩৮) খণ্ডের ১০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ২৯-৩২।
পত্রিকা
প্রবাসী (ভাদ্র ১৩১৭ বঙ্গাব্দ)। শিরোনাম-প্রণতি'। পৃষ্ঠা ৪০৯।
রেকর্ডসূত্র: নাই।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গানটি রবীন্দ্রনাথের ৪৯ বৎসর
৩ মাস বয়সে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
স্বরলিপিকার: ভীমরাও শাস্ত্রী। সঙ্গীত গীতাঞ্জলি (১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ)
সুর ও তাল:
রাগ-ভৈরবী। তাল-দাদরা। স্বরবিতান-৩৮, সঙ্গীত গীতাঞ্জলি (১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ)।
রাগ : ভৈরবী। তাল-দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা ৭৬।
রাগ : ভৈরবী। তাল-দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা ১৩২।
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।