বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
অশ্রুনদীর সুদূর পারে ঘাট দেখা যায় তোমার
দ্বারে
পাঠ ও পাঠভেদ:
অসুন্দরের পরম বেদনায় সুন্দরের আহ্বান।
সূর্যরশ্মি কালো মেঘের ললাটে পরায় ইন্দ্রধনু
তার লজ্জাকে
সান্ত্বনা দেবার তরে।
মর্তের অভিশাপে স্বর্গের করুণা যখন নামে
তখনি তো
সুন্দরের আবির্ভাব।
প্রিয়ে, সেই করুণা কি তোমার হৃদয়কে কাল মধুর করে নি।
পাণ্ডুলিপি: নাই
পাঠভেদ:
গানটি শাপমোচন -এ রাজার সংলাপ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বাবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, পুনর্মুদ্রণ আষাঢ় ১৩৯৩)- এই অংশটি যেভাবে মুদ্রিত আছে, তা হলো—
রাজা স্তব্ধ হয়ে রইল। তার পরে উঠল গেয়ে, "অসুন্দরের পরম বেদনায় সুন্দরের আহ্বান। সূর্যরশ্মি কালো মেঘের ললাটে পরায় ইন্দ্রধনু, তার লজ্জাকে সান্ত্বনা দেবার তরে। মর্তের অভিশাপে স্বর্গের করুণা যখন নামে তখনি তো সুন্দরের আবির্ভাব। প্রিয়তমে, সেই করুণাই কি তোমার হৃদয়কে কাল মধুর করে নি।"
১৩৪৭ বঙ্গাব্দের পৌষ
মাসে শান্তিনিকেতনে শাপমোচন
মঞ্চস্থ হওয়ার সময় রবীন্দ্রনাথ এই নাটিকাটি যে ভাবে সাজিয়েছেলন, সে সজ্জা অনুসারে
এই গানটি চতুর্থ দৃশ্যে ছিল।
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ষষ্টিতম (৬০, মুদ্রণ মাঘ ১৪১৩) -এ মুদ্রিত স্বরলিপিটিতে রাগ তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ। দ্রুত লয়ে গাওয়ার জন্য এই গানে ব্যবহৃত তালটি 'দ্রুত দাদরা' হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
রাগ : কীর্তন। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর। ২০০৬। পৃষ্ঠা: ২৪)]
রাগ: কীর্তন। তাল: দাদরা, ঢালা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৪৭]
গ্রহস্বর-মা।
লয়-মধ্য।