বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা : শিরোনাম:
আনন্দগান উঠুক তবে বাজি
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ: স্বদেশ
পর্যায়ের ১৯
সংখ্যক গান।
আনন্দধ্বনি জাগাও গগনে। কে আছ জাগিয়া পুরবে চাহিয়া,
বলো ‘উঠ উঠ’ সঘনে গভীরনিদ্রাম
গনে॥
হেরো তিমিররজনী যায় ওই, হাসে উষা নব জ্যোতির্ময়ী—
নব আনন্দে, নব জীবনে
ফুল্ল কুসুমে, মধুর পবনে,
বিহগকলকূজনে॥
হেরো আশার আলোকে জাগে শুকতারা উদয়-অচল-পথে,ে,
কিরণকিরীটে তরুণ তপন উঠিছে
অরুণরথে—
চলো যাই কাজে মানবসমাজে, চলো বাহিরিয়া জগতের মাঝে—
থেকো না মগন শয়নে,
থেকো না মগন স্বপনে॥
যায় লাজ
ত্রাস, আলস বিলাস কুহক মোহ যায়।
ঐ দূর হয় শোক
সংশয় দুঃখ স্বপনপ্রায়।
ফেলো জীর্ণ চীর, পরো নব সাজ, আরম্ভ করো জীবনের কাজ—
সরল সবল
আনন্দমনে, অমল অটল জীবনে॥
-
পাণ্ডুলিপি পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
Ms. 131
পাঠভেদ:
রচনাকাল:
গানটি রবীন্দ্রনাথের
৩১ বৎসর বয়সের রচনা
তথ্যানুসন্ধান
- খ.প্রকাশ
ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
পত্রিকা:
- সাধনা (মাঘ ১২৯৯)। ইন্দিরাদেবীকৃত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১২৯৯)
- সঙ্গীত-প্রকাশিকা (৪। ১৩১২ বঙ্গাব্দ)।
- গ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার: ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী
-
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান ৪৭ খণ্ডে গৃহীত গানে রাগ তালের উল্লেখ নেই। গানটি ৩।৩।৩।৩
এবং ৩।২।২ ছন্দে নিবদ্ধ। এই বিচারে গানটি একতাল ও দাদরা তালের
তাল-ফেরতা হিসাবে গণ্য করা যায়।
-
রাগ: হাম্বীর। তাল: কাহারবা-তেওরা-দাদরা< [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর
নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ২৭]
-
রাগ: হাম্বীর। তাল: চতুর্মাত্রিক একতাল, তেওরা, একতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫২।]
-
- গ্রহস্বর: গা।
- লয়: দ্রুত।