বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
অয়ি ভূবনমনোমোহিনী, মা
পাঠ ও পাঠভেদ:
-
গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
স্বদেশ
পর্যায়ের
২
৩
সংখ্যক গান
।
অয়ি ভূবনমনোমোহিনী, মা,
অয়ি নির্মলসূর্যকরোজ্জ্বল ধরণী জনকজননিজননী॥
নীলসিন্ধুজলধৌতচরণতল, অনিলবিকম্পিত-শ্যামল-অঞ্চল,
অম্বরচুম্বিতভালহিমাচল, শুভ্রতুষারকিরীটিনী॥
প্রথম প্রভাত উদয় তব গগনে, প্রথম সামরব তব তপোবনে,
প্রথম প্রচারিত তব বনভবনে জ্ঞানধর্ম কত কাব্যকাহিনী।
চিরকল্যাণময়ী তুমি ধন্য, দেশবিদেশে বিতরিছ অন্ন—
জাহ্নবীযমুনা বিগলিত করুণা পুণ্যপীযূষস্তন্যবাহিনী॥
Ms. 290
।
[
RBVBMS 4 26
(ii)
]
[নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
RBVBMS 426
(ii)
পাণ্ডুলিপিতে গানটির রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ আছে, ' পৌষ/১৩০৩'। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল রবীন্দ্রনাথের ৩৫ বছর ৮ মাস । উল্লেখ্য, ১৩০৩ বঙ্গাব্দের ১৪ পৌষ (২৮ ডিসেম্বর ১৮৯৬ বঙ্গাব্দ) সোমবার ,- কলকাতার বিডন স্কোয়ারে রহমতুল্লাহ সায়ানির সভাপতিত্বে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের দ্বাদশ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় । রবী ন্দ্র নাথ এই অধিবেশনের জন্য এ গানটি রচনা করেছিলেন ।
এ গানটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় শ্রীপুলিন বিহারী সেন-কে লিখিত রবীন্দ্রনাথের একটি চিঠি থেকে । রবী ন্দ্র নাথ এ পত্রটি লিখেছিলেন , ২০ নভেম্বর ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ ( ৪ অগ্রহায়ণ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ) তারিখে । নিচে পত্রটি থেকে আবশ্যকীয় অংশ তুলে ধরা হল-
-
' এক দিন আমার পরলোকগত বন্ধু হেমেন্দ্র মল্লিক বিপিন পাল মহাশয়কে সঙ্গে করে একটি অনুরোধ নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন । তাঁদের কথা ছিল এই যে , বিশেষভাবে দুর্গামূত্তির সঙ্গে মাতৃভূমির দেবীরূপ মিলিয়ে দিয়ে তাঁরা শারদীয়া পূজার অনুষ্ঠানকে নুতনভাবে দেশে প্রবত্তিত করতে চান , তাঁর উপযুক্ত ভক্তি ও উদ্দীপনামিশ্রিত স্তবের গান রচনা করবার জন্য আমার প্রতি তাঁদের ছিল বিশেষ অনুরোধ । আমি অস্বীকার করে বলেছিলুম এ ভক্তি আমার আন্তরিক হতে পারে না , সুতরাং এতে আমার অপরাধের কারণ ঘটবে । বিষয়টা যদি কেবলমাত্র সাহিত্যক্ষেত্রের অধিকারগত হোত তাহলে আমার ধম্মবিশ্বাস যাই হোক আমার পক্ষে তাতে স ঙ্কো চের কারণ থাকত না , কিন্তু ভক্তির ক্ষেত্রে পূজার ক্ষেত্রে অনধিকার প্রবেশ গ্রর্হণীয় । আমার বন্ধুরা সন্তুষ্ট হননি । আমি ভূবননোমোহিনী , এ গান পুজামগুপের যোগ্য নয় সে কথা বলা বাহুল্য ।'
খ . প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কল্পনা
-
প্রথম সংস্করণ: (বৈশাখ
১৩০৭, আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্রে মুদ্রিত)। শিরোনাম: 'ভারতলক্ষ্মী'।
ভৈরবী পৃষ্ঠা: ৬৬। [নমুনা]
-
রবীন্দ্র
রচনাবলী
সপ্তম খণ্ড (বিশ্বভারতী)
পৃষ্ঠা ১৬৮
-
কাব্যগ্রন্থ
- গান
- গীতবিতান
- প্রথম খণ্ড দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
স্বদেশ
পর্যায়ের
২
৩
সংখ্যক গান
।
-
চয়নিকা [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ১৩১৬)। ভারত-লক্ষ্মী। ভৈরবী। পৃষ্ঠা:
৪৫২ [নমুনা]
-
শতগান,
জাতীয় সঙ্গীত, ৪৪ সংখ্যক গান,
টোড়ি ভৈরবী-কাওয়ালী
(১৩০৭ বঙ্গাব্দ)
।
সরলাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল
পৃষ্ঠা: ১৬১-১৬৩।
-
স্বরবিতান সপ্তচত্বারিংশ
(৪৭) খণ্ডের (পৌষ ১৪১২) দ্বিতীয় গান । পৃষ্ঠা ১২ -১ ৪ ।
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
বীণাবাদিনী (কার্তিক ১৩০৪ বঙ্গাব্দ) । মিশ্র-কাওয়ালি । সরলাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল ।
৩।
-
ভারতলক্ষ্মী
(বৈশাখ ১৩০৭)
-
ভারতী (মাঘ ১৩০৩ বঙ্গাব্দ) সরলাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল
।
-
পরিবেশনা: সরলাদেবী তাঁর জীবনের ঝরাপাতা গ্রন্থে জানিয়েছেন- কলিকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর
বাড়ীতে,- ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে যোগদানকারী নেতৃবৃন্দ অতিথি হয়ে আসেন।
রবীন্দ্র
নাথ
সে সময়ে অভ্যাগতদের এ গানটি শুনিয়েছিলেন
।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
সরলাদেবী
।
-
সুর
ও তাল:
-
স্বরবিতান সপ্তচত্বারিংশ
গানটির রাগ-তালের উল্লেখ নেই
।
গানটি ৪
।
৪
ছন্দে 'কাহারবা
'
তালে নিবদ্ধ।
-
টোড়ি ভৈরবী-কাওয়ালী। [
শতগান,
জাতীয় সঙ্গীত, ৪৪ সংখ্যক গান,
টোড়ি ভৈরবী-কাওয়ালী
(১৩০৭ বঙ্গাব্দ)]
-
রাগ-মিশ্র তাল-কাওয়ালি । বীণাদিনী । [ বীণাবাদিনী (কার্তিক ১৩০৪ বঙ্গাব্দ) ]
।
- রাগ:
ভৈরবী। তাল: কাহারবা।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর
২০০৩। পৃষ্ঠা: ২৪]
-
রাগ: ভৈরব, ভৈরবী
। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত
আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৪৭।
]
-
গ্রহস্বর: মা
।
-
লয়: দ্রুত
।