বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
চলো যাই চলো যাই চলো
পাঠ ও পাঠভেদ:
চলো যাই চলো যাই চলো, যাই—
চলো পদে পদে সত্যের ছন্দে
চলো দুর্জয় প্রাণের আনন্দে।
চলো মুক্তিপথে,
চলো বিঘ্নবিপদজয়ী মনোরাথে
করো ছিন্ন, করো ছিন্ন করো ছিন্ন—
স্বপ্নকুহক করো ছিন্ন।
থেকো না জড়িত অবরুদ্ধ
জড়তার জর্জর বন্ধে।
বলো জয় বলো, জয় বলো, জয়—
মুক্তির জয় বলো ভাই॥
চলো দুর্গমদূরপথযাত্রী চলো দিবারাত্রি,
করো জয়যাত্রা,
চলো বহি নির্ভয় বীর্যের বার্তা,
বলো জয় বলো, জয় বলো, জয়—
সত্যের জয় বলো ভাই॥
দূর করো সংশয়শঙ্কার ভার,
যাও চলি তিমিরদিগন্তের পার।
কেন যায় দিন হায় দুশ্চিন্তার দ্বন্দ্বে—
চলো দুর্জয় প্রাণের আনন্দে।
চলো জ্যোতির্লোকে জাগ্রত চোখে—
বলো জয় বলো, জয় বলো, জয়—
বলো নির্মল জ্যোতির জয় বলো ভাই॥
হও মৃত্যুতোরণ উত্তীণ,
যাক, যাক ভেঙে যাক যাহা জীর্ণ।
চলো অভয় অমৃতময় লোকে, অজয় অশোকে,
বলো জয় বলো, জয় বলো, জয়—
অমৃতের জয় বলো ভাই॥
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১০ মাঘ ১৩৪৩বঙ্গাব্দ। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গানটি রচিত হয়েছিল।
গ্রন্থ:
গীতবিতানের স্বদেশ পর্যায়ের ৩৯ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান সপ্তচত্বারিংশ (৪৭)খণ্ডের ১৮ সংখ্যক গান হিসাবে গৃহীত হয়েছে। পৃষ্ঠা ৬৭-৭১।
রাগ: খাম্বাজ
। তাল : কাহারবা [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।] পৃষ্ঠা: ৫০।রাগ: খাম্বাজ। কাহারবা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ৮৯।
গ্রহস্বর-র্সা। লয়-দ্রুত।