শ্যাম, মুখে তব মধুর অধরমে হাস বিকাশত কায়,
কোন স্বপন অব দেখত মাধব, কহবে কোন হমায়!
নীদ-মেঘ’পর স্বপন-বিজলি-সম রাধা বিলসত হাসি!
শ্যাম, শ্যাম মম, কৈসে শোধব তুঁহুক প্রেমঋণরাশি।
বিহঙ্গ, কাহ তু বোলন লাগলি,
শ্যাম ঘুমায় হমারা।
রহ রহ চন্দ্রম, ঢাল ঢাল তব শীতল জোছনধারা।
তারকমালিনী সুন্দরযামিনী অবহুঁ ন যাও রে ভাগি—
নিরদয় রবি অব কাহ তু আওলি, জ্বাললি বিরহক আগি।
ভানু কহত অব, রবি অতি নিষ্ঠুর,
নলিনমিলন-অভিলাষে
কত নরনারীক মিলন টুটাওত, ডারত বিরহহুতাশে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ: ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী -তে এর পাঠ হিসেবে রয়েছে 'গহীর নিদমে বিবশ শ্যাম মম'।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: সুনির্দিষ্টভাবে
জানা যায় না।
১২৯১ বঙ্গাব্দের ১৮
আষাঢ় তারিখে প্রকাশিত হয় ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী গ্রন্থটি।
ভারতী
পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশিত
১৩টি কবিতা ও নতুন ৮টি কবিতা নিয়ে—
১২৯১ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে যে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল, তার নাম দেওয়া হয়েছিল
ভানুসিংহ
ঠাকুরের পদাবলী।
এই
গ্রন্থটির প্রকাশকালে রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ২৩ বৎসর ২ মাস। আলোচ্য গানটি
এই গ্রন্থেই প্রথম প্রকাশিত হয়।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, চৈত্র ১৪১৩), পর্যায়: ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী ১২, পৃষ্ঠা: । [নমুনা]
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী। শিরোনাম ' নিদ্রা'। পৃষ্ঠা: ২৩]। [নমুনা]
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: স্বরলিপি নাই।
সুর ও তাল:
রাগ : খাম্বাজ। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৭৯।
রাগ: খাম্বাজ। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৩৭।