গেল  
বানান বিশ্লেষণ: গ্+এ+ল্+অ
উচ্চারণ: [
ge.lə] [গে.ল] [ə= তীর্যক অ।]
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত ক্রিয়ামূল Öগম্>Ö>
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: Ö (গমন করা) +এল
পদ:

ক্রিয়া। বাংলায় এই ক্রিয়ামূলের ভাবগত অর্থ হলো- গমন করা এই ক্রিয়ামূল থেকে উৎপন্ন কিছু অকর্মক ক্রিয়াপদ Öযা ধাতুর পূরক ক্রিয়াপদ হিসাবে ব্যবহৃত হয় আবার এই ধাতুর দ্বারা ক্রিয়াপদের পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত করা যায় না, তাই একে অসম্পূর্ণ ক্রিয়ামূল বলা হয়এই ক্রিয়ামূল থেকে উৎপন্ন পুরাঘটিত ক্রিয়াপদে গ ধ্বনি গি-তে পরিণত হয় যেমন গিয়াছে, গিয়াছিল, গিয়ে থাকব, গিয়া থাকিব ইত্যাদি এই ক্রিয়ামূলক থেকে উৎপন্ন অসমাপিকা ক্রিয়াপদগুলো হলো গিয়া, গিয়ে, গেলে

সাধারণ অতীত কালে, নাম পুরুষে গেল ক্রিয়াপদ পাওয়া যায়। যেমন
সে গেল। এই ক্রিয়া পূর্বে অন্য ক্রিয়াপদ অসমাপিকা রূপে উপস্থাপিত হয়ে সংযোজক ক্রিয়ামূল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন চলে গেল, বলে গেল, খেয়ে গেল ইত্যাদি। ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীতে এরূপ শব্দ পাওয়া যায় 'চলি গেল'।

অর্থ: গমন করা অর্থে অতীত কালে প্রয়োগ হয়ে থাকে।
উদাহরণ: জর জর রিঝসে দুঃখদহন সব দূর দূর চলি গেল [ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী (গীতবিতান) ১।৪]