যমুনা
বানান বিশ্লেষণ:
য্+অ+ম্+উ+ন্+আ
উচ্চারণ: [ɟə.mu.na]
[জ্.মু.না]
[ə=
তীর্যক অ। অ-এর উচ্চারণ দীর্ঘ হবে]
উল্লেখ্য,
ভারতী
পত্রিকাএ 'আশ্বিন ১২৮৪' সংখ্যায় 'শাঙন
গগন ঘোর ঘনঘটা' গানটির সাথে ভানুসিংহ ঠাকুরের পদগুলোর উচ্চারণ কেমন
হবে, তার একটি নির্দেশনা মুদ্রিত হয়েছিল। নির্দেশনাই হলো
'এই ব্রজ-গাথাগুলি হিন্দুস্থানী উচ্চারণে ও দীর্ঘ হ্রস্ব রক্ষা করিয়া সংস্কৃত ছন্দের নিয়মানুসারে না পড়িলে শ্রুতি-মধু হয় না-প্রত্যুত হাস্যজনক হইয়া পড়ে।'
সম্ভবত রবীন্দ্রনাথে আমলে 'যমুনা'র উচ্চারণ 'ইয়মুনা' ছিল না। পুরানো হিন্দি গানে 'যমনা' বা 'যমুনা' উচ্চারণই পাওয়া যায়। অবশ্য আধুনিক হিন্দিতে অনেক সময় 'ইয়মুনা' উচ্চারণ হয়। প্রাচীন রীতি অনুসারে 'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীতে ব্যবহৃত 'যমুনা'র উচ্চারণ [ɟə.mu.na] [জ্.মু.না] হওয়া উচিৎ বলে মনে করি।
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত যমুনা>বাংলা যমুনা।
পদ: বিশেষ্য
অর্থ: ভারত এবং বাংলাদেশ
মিলে এই নামে বেশ কয়েকটি নদী আছে। বৈষ্ণব সাহিত্যে যে যমুনাকে বুঝানো হয়েছে উত্তর ভারতের একটি
বিশেষ নদীকে।
এর অপর নাম কালিন্দী।
এই নদীটির উৎপত্তিস্থল হিমালয়ের যমুনোত্রী শৃঙ্গ। এই উৎপত্তিস্থল
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০৮৪৯ ফুট
উচ্চতায়
অবস্থিত।
এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৬০ মাইল।
উৎপত্তি স্থল থেকে প্রায় ৯৫ মাইল অতিক্রম করার পর হিমালয়ের শিবালিক পর্বতে
বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। নদীর স্ফীত জলরাশি এই পাহাড়ের অনুচ্চ অংশ অতিক্রম করে, নদীটি
সাহারনপুর জলার ফায়জাবাদের সমতল ভূমিতে প্রবেশ করেছে।
এরপর
নদীটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে পাঞ্জাব,
দিল্লী ও উত্তর প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্রয়াগ বা এলাহাবাদের কাছে গঙ্গা
নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।
এই নদীর তীরে হিন্দুদের তীর্থস্থান মথুরা ও বৃন্দাবন অবস্থিত।
বিখ্যাত আগ্রার তাজমহল এই নদী তীরেই অবস্থিত।
উদাহরণ: