বিষয়:
রজনীকান্ত সেনের গান।
গান সংখ্যা: ১৫৯
শিরোনাম: তোমাতে যখন, মজে
ভৈরবী-একতালা
তোমাতে যখন, মজে আমার মন,
তখনি ভুবন হয় সুধাময়;
কলির জীব তরা’তে, আবির্ভাব ধরাতে,
এ পোড়া বরাতে, টিকে গেলে হয়।
তুমি নিত্যবস্তু, সদা বর্ত্তমান,
তুমি চিৎ, জীবের চৈতন্য নিদান,
সদানন্দ, কর সদানন্দ দান,
(তুমি) প্রত্যক্ষ দেবতা সকল শাস্ত্রে কয়।
অম্বুরী, কি আলা, কড়া, মিঠে-কড়া,
সিগার, নস্য, সুর্ত্তি, নানারূপে গড়া,
রুচিভেদে সেবা, যে মূর্ত্তি চায় যেবা
সেইরূপে তারে দাও পদাশ্রয়।
গড়্গড়ি্, কি ফর্সী, ডাবায় পত্রঠোসে,
হাতে, কিংবা বস্ত্র-আবরণে, ক’সে,
যখন, লাগায় টান, সাধকের প্রাণ,
ভোলে সংসারজ্বালা, কত স্ফূতি হয়!
রাজ-দরবারে, কাছারী মজলিসে,
সভা-সমিতিতে, বৈঠকে, সালিসে,
গল্পে, এয়ারকিতে, মঠে ও মসজিদে,
তোমরা সত্তা ভিন্ন সকল বাতিল হয়।
এক ছিলাম অন্ততঃ, ভোরে উঠেই চাই,
নইলে হয় না কোষ্ঠ, কত কষ্ট পাই,
আর ভোজনের পরে’, ঘণ্টা খানেক ধ’রে
মাপ্ করুন, মৌতাতি, না টানলেই যে নয়!
আর বুদ্ধির গোড়ায়, তোমার ধোঁয়া না পৌঁছিলে,
বেরোয় নাক’, মুসোবিদা, কি মুশকিল এ!
Idiom না জাগে, ফাঁকা ফাঁকা লাগে,
হেঁয়ালি Problem এর উদ্ধার শক্ত হয়।
কান্ত বলে, প্রমাণ লও না হাতে হাতে,
তামাক দিতে কসুর ক’রলে চাকরটাতে;
তাইতে হ’ল মাটি, নইলে বুঝ্লে খাঁটি
(এই) গানটা হ’য়ে উঠ্তে যেমন হ’তে হয়।