বিষয়: রজনীকান্ত সেনের গান।
গান সংখ্যা:
২০৭
শিরোনাম: বয়ে যাক্ হরি, প্রেমেরি


   কীর্ত্তনের সুর
জলদ একতালা
ব’য়ে যাক্ হরি, প্রেমেরি বন্যা, (এই) শুষ্ক-হৃদয়-মাঝে;
ডুবাও রমণী, পুত্র কন্যা, অভিমান, ধন, লাজে।
(ওরা ডুবে যাক্)
(তোমার প্রেমের প্রবল বন্যায়, ওরা ডুবে যাক্)
(ওরা স’রে যাক্ হে)
(আমার পথ হ’তে ওরা সরে যাক্ হে)
(আমার প্রেম-সাধনার পথ হ’তে ওরা স’রে যাক্ হে)
(আমার ভজন-বৈরী, সাধন-বাধা স’রে যাক্ হে)
(আমি ভেসে যাব নাথ)
(তোমার প্রেমের একটানা স্রোতে, ভেসে যাব নাথ)
(আমি সফল হব)
(তোমার পায়ে আপনা হারায়ে সফল হব)
(ওহে প্রেমসিন্ধু, আপনা হারায়ে সফল হব।)
যে প্রেমের স্রোতে আপনা হারায়ে, গোরা বলে হরি বোল হে,
সংসার তেয়াগি, দু’হাত বাড়ায়ে, পাতকীরে দিল কোল হে।
(বলে, হরি বল ভাই)
(গোরা বলে, হরি বল ভাই)
(ধন জন মান কিছু নয়, শুধু হরি বল ভাই)
(কে টেনেছিল?) তোরে কে টেনে ছিল?)
(ঘরে যুবতীর প্রেম ভুলায়ে দিয়ে, কে টেনে ছিল?)
(ঘরে স্নেহ-পাগলিনী মা ভুলায়ে, কেবা টেনে ছিল?)
(আর রইল না হে) (আর ঘরে রইল না হে)
(গোরা আর ঘরে রইল না হে)
(কি মধু পেয়ে সে পাগল হ’ল, ঘরে রইল না হে)
(আর থাক্‌বে কেন?)
(আর ঘরে থাক্‌বে কেন?)
(সকল মধুর সার মধু পেলে থাক্‌‌‌‌বে কেন?)
যে প্রেমে প্রহ্লাদ বাঁচে বিষপানে, শিলাসহ ভাসে জলে হে,
পোড়ে না অনলে, মরে না পাষাণে, বাঁচে করী-পদতলে হে।
(সে কেবল তোমায় ডাকে)
(অবোধ শিশু তোমায় ডাকে)
(‘কোথা বিপদ-ভঞ্জন মধুসূদন’ ব’লে, তোমায় ডাকে)
তারে কে মারতে পারে?)
(তুমি কোলে ক’রে তারে ব’সে ছিলে, কেবা মারতে পারে?)
(তুমি প্রেমসুধা দিয়ে অমর কল্লে, কে মার্‌তে পারে?)