বিষয়: রজনীকান্ত সেনের গান।
গান সংখ্যা:
২১৩
শিরোনাম: বুঝি পোহালো না পাতক


   টোড়ি ভৈরবী
কাওয়ালী
বুঝি পোহালো না পাতক রজনী;
এই ভাবনা, বুঝি পাব না,
সেই মোহ তিমির-হর, জ্ঞান-দিনমণি।
আর, মায়া-নিদ্রাহরা হেরিব না সিদ্ধি-ঊষা,
বৈরাগ্য-শিশির-ভরা, আনন্দ-কুসুম-ভূষা,

নিরমল-ওঙ্কার-বরণী।
আমার, চলচিত্ত-চক্রবাক, আর ভক্তি-চক্রবাকী,
কর্ম্মনদীর দুই পারে, করিতেছে ডাকাডাকি;
চির-তিমির-মজ্জিত, সহিছে চির-বিরহ,
করুণ-বিলাপ মাত্র বহিতেছে শব্দবহ,
পরদুখে বধিরা ধরণী।
আমার, সাধন-বিহঙ্গ, শুয়ে বিলাস-আলস্য-নীড়ে
সন্দেহ-পেচক শুধু, অন্ধকারে ঘুরে ফিরে,
প্রবেশি’ তস্কর-রিপু শান্তিময়-মর্ম্ম-গেহে,
লুঠে মরকত-প্রেম, অমূল্য হীরক-স্নেহে,
(লুঠে) দয়া মুক্তা, সদ্বিবেক-মণি।
আমার নিস্প্রভবিশ্বাস, যেন মাখিয়া কলঙ্কমসী,
শুক্লপক্ষ দ্বিতীয়ার ক্ষীণ-রেখ, ম্লানশশী;
সেও অস্ত গেছে হরি, কোটি সাধু-ইচ্ছা-তার,
মোহ-মেঘ অন্তরালে হয়েছে বিলুপ্ত, হারা,
(শুধু) খেলিতেছে আতঙ্ক-অশনি।
(এই) বিভীষিকাময়ী নিশা, আমি নিরাশ্রয়, একা,
কোথা হে বিপন্নবন্ধু! দয়াময়! দাও দেখা;
এই ভীম-বৈতরণী-উত্তপ্ত-তরঙ্গ-বারি!
সন্ত্রস্ত তিতীর্ষু ডাকে, কোথা পারের কাণ্ডারী;
কই নাথ, শ্রীপদতরণী?