বিষয়:
রজনীকান্ত সেনের গান।
গান সংখ্যা: ২৩২
শিরোনাম: মাণিকের চতুর্দ্দোলে
কীর্ত্তনের সুর−কাওয়ালী
মাণিকের চতুর্দ্দোলে যুগল মাণিক দোলে
ভুবনমোহন রূপ ধরিয়া;
শূন্যে দেব দেবীগণ করে পুষ্প বরিষণ,
“জয় হা-গৌরী!” ধ্বনি করিয়া।
সিত-সরোরুহ-পাশে, হেম-কমলিনী হাসে,
(আছে) ভকতভ্রমর পদে পড়িয়া;
রজত কনকাচল, করিতেছে ঝলমল,
মন্দাকিনী-ধারা যায় ঝরিয়া।
হেরি সে মোহন ছবি, স্থির দশমীর রবি,
শূন্যে পাখী যেতে নারে সরিয়া;
নির্ঝর হইল স্তব্ধ, তটিনীর নাহি শব্দ;
স্রোত আর ঢেউ গেল মরিয়া।
সমীর হইল ধীর, তরু না দোলায় শির,
স্পন্দনহীন পশু ভূমে পড়িয়া;
দিক্পাল-বধূগণ, নাগকন্যা অগণন,
আসিয়াছে দিতে দোঁহে বরিয়া।
চেয়ে আছে ত্রিভুবন, ভাব-সিন্ধু-নিমগন,
কে নিয়েছে অন্য জ্ঞান হরিয়া;
স্পন্দনহীন দেহ-প্রাণ রূপসুধা করে পান,
তৃষিত নয়ন-মন ভরিয়া।
ভুলিয়া মরম-দুখ, রাণী হেরে দোঁহা-মুখ
গলদশ্রু গণ্ডে পড়ে গড়িয়া;
এ মুরতি মকরন্দ, পান না করিলে অন্ধ,
কেমনে যাইবে কান্ত তরিয়া?