বিষয়:
রজনীকান্ত সেনের গান।
গান সংখ্যা: ২৪৪
শিরোনাম: যবে, সৃজনবাসনা-কণা
মিশ্র ইমন্−কাওয়ালী
যবে, সৃজনবাসনা-কণা, ল’য়ে কৃপা-আঁখি-কোণে
চাহিলে, হে রাজ-অধিরাজ!
অমনি, নিমেষে বিরাট্ বিশ্ব, চরণে করিয়া নতি,
মহাশূন্যে করিল বিরাজ!
মহালোক-সিন্ধু হ’তে এক বিন্দু ল’য়ে করে,
প্রক্ষেপ করিলে, বিভু, অন্ধকার চরাচরে;
অমনি চরণতলে, আলোকমণ্ডিত বিশ্ব,
সন্তরিল জ্যোতিঃস্রোতোমাঝ;
মহাশক্তি-তৃণ হ’তে হেলায় একটি বাণ
নিক্ষেপিলে, জড়বিশ্ব অমনি পাইল প্রাণ;
হ’ল মহাবেগে ঘূর্ণ্যমান্, আলোড়ি’ মহাবিমান,
অগণিত জ্যোতিষ্কসমাজ।
আনন্দ-কণিকামাত্র পড়িল ব্রহ্মাণ্ডশিরে,
হাসিল এ চরাচর পুলকে শিহরি’ ধীরে
বহিল আনন্দধারা, জড়-জীব মাতোয়ারা,
পরি’ তব আরতির সাজ;
চিরপ্রেম-নির্ঝরের একটি বুদ্বুদ ল’য়ে
ফেলে দিলে, প্রেমধারা চলিল অশান্ত ব’য়ে
অমনি, জননী করিল, স্নেহ, সতীপ্রেমে পূর্ণ গেহ,
গ্রহ ছুটে এ উহার পাছ।
হেলায় ছিটায়ে দিলে, অক্ষয়-সৌন্দর্য্য-তুলি,
ভাবচ্ছটা উজলিল মোহন বদন তুলি’,
অমনি, অনন্ত বরণ আসি,’ ছড়াইল শোভারাশি।
ধন্য তব নিত্যকারুকাজ!
তুমি কি মহান্, বিভু, আমি কি মলিন, ক্ষদ্র,
আমি পঙ্কিল সলিলবিন্দু, তুমি যে সুধাসমুদ্র!
তবু, তুমি মোরে ভালবাস, ডাকিলে হৃদয়ে এস,
তাই এত অযোগ্যের লাজ।