বিষয়: রজনীকান্ত সেনের গান।
গান সংখ্যা:
২৯৮
শিরোনাম: বাপা জীবন


   মিশ্র বিভাস
কাওয়ালী
বাপা জীবন!
তোমার মংগলাদি না পেয়ে বিশেষ চিন্তার্ণিত আছি,
হপ্তাবাদে পত্তর ভির্ণ কি প্রকারে বাঁচি?
মোদের দারিদ্রতার দরুণ বড় কেল্লেশে দিন যায়,
(তাতে) ম’চ্ছ দুধের প্রেসঙ্গ এবার নাইক এ দেশটায়।
(আবার) আধ কাঠা ধানও এবার পেলাম নাকো ভূঁয়ে,
তাতে খাজনা খরচার কড়া ত’শিল কল্লে ছিধর ভূঞে।
আমার, পরণের বিস্তর ছির্ণ, গ্রেহ পারি নি ছাইতে;
তাতে দিন রাত্তির গোঁসাই তোমার পত্তরের পথ চাইতে।
তোমার গর্ভধারিণী কান্দে কি হৈল বলিয়ে,
(বাবা) মা বাপকে কেল্লেশ কি দেন, সুবুদ্ধি হইয়ে?
তুমি কত নেখাপড়া জান, আমরা ত মুরুক্ষ;
আর তুমি ভির্ণ বের্দ্ধ বাপের কি বুঝিবে দুষ্কু!
তোমার কেতাব, জুতো, ইষ্টিসিন, আর এন্‌গেলাপের মূল্য,
নাগে তিরিশ টাকা, শুনেই অত্যান্তিক মাথা ঘুরল।
আমার গায়ের বালাপোস, আর তোমার মায়ের তাগা,
পরশু, বাঁধা থুয়ে, কায়কেল্লেশ পাঠিয়েছি পাঁচ টাকা।
বাপা, অত্র পত্র প্রাপ্ত মাত্র পত্রের উত্তর দিও।
আর, যত্র, তত্র থাকি সত্তর তত্ত্বমাত্রা নিও।
(তোমায়) বিদেশে রাখিয়ে বাপা সসঙ্কৃত থাকি,
(আর) গোবিন্দ চরণ ভরসা তাঁরেই কেবল ডাকি!
এন্‌গেলাপে কি প্রয়োজন? পোষ্টকাটেই হবে,
সদা মংগল বাত্রা দিবে, আর, সাবধানেতে রবে।
কবে চাঁদমুখ দেখ্‌ব ব’লে দিয়ে আছি ধন্না,
নিয়ত আসিব্বাদক বিষ্ণু প্রেসাদ শম্মা।