বিষয়:
রজনীকান্ত সেনের গান।
গান সংখ্যা: ৮৩
শিরোনাম: ওহে কলুষ-হরণ, নিখিল-শরণ
ওহে, কলুষ-হরণ, নিখিল-শরণ
দীন-দয়াল, হরি হে।
কাতর চিত, দুর্ব্বল, ভীত,
চাহ করুণা করিহে (আর দুখ দিও না)
(হরি হে, পাপীরে ক্ষমা কর, আর দুখ দিও না)
(আমি অনুতাপ-বিষে-জর-জর, –আর দুখ দিও না)
(নইলে, কালী যে হবে)
(অনুতাপী পাপী দুখ পেলে নামে কালী যে হবে)
(নিষ্কলঙ্ক হরিনামে, হরি, কালী যে হবে)
(এই পতিত অধমে না তারিলে, নাম ডুবে যে যাবে।)
ওহে, প্রেমসিন্ধু জগদ্বন্ধু,
আমি কি জগৎ ছাড়া হে?
এই গভীর-আঁধারে, আকুল, পাথারে
একবার দেহ সাড়া হে।
(সাড়া কেন দেবে না?)
(কাতরে পাপী ডাকে যদি, সাড়া কেন দেবে না?)
(কেন তুলে নেবে না?)
(সরল প্রাণের ডাক শুনে, কেন তুলে নেবে না?)
(এর মাঝে তো আছি)
(এই জগতের মাঝে তো আছি)
(ওহে জগত্রাতা, এই জগতের মাঝে তো আছি)
(তবে ফেল্বে কিসে?)
(এই জগতের বাপ মা হয়ে ফেল্বে কিসে?)
(নিন্দে হবে) (নামের নিন্দে হবে)
(জগৎ থেকে ফেলে দাও, নইলে নিন্দে হবে)
(নিষ্কলঙ্ক দয়াল নামে, নিন্দে হবে।)
ওহে, দীন-দয়াময়, কি হেতু নিদয়,
সুখসিন্ধুতীরে ফেলি' হে;
ওহে, ভব-কর্ণধার, দেখ একবার,
করুণা নয়ন মেলি' হে।
(বড় নাম শুনেছি)
(ঘাটে এসে, দয়াল, দাঁড়িয়ে আছি, নাম শুনেছি)
(পারের কড়ি লাগে না)
(তোমার ঘাটে পার হ'তে নাকি কড়ি লাগে না)
('দয়াল' ব'লে তিন ডাক দিলে আর কড়ি লাগে না)
('দীনে পার কর' ব'লে ডাক দিলে আর কড়ি লাগে না)
(কাতর হয়ে ডাক দিলে আর কড়ি লাগে না)
(চ'খের জলে ডাক্লে নাকি কড়ি লাগে না)
(ব্যাকুল হ'য়ে ডাক্লে নাকি কড়ি লাগে না)
(সব কি মিথ্যে কথা?)
(তরী আছে ঘাটে পাট্নী নাই, কি মিথ্যে কথা?)
(তবে পার করে কে?)
(আঁধারে পাথারে শ্রান্ত পথিকে পার করে কে?)
(তা'তো হ'তে পারে না)
তরী আছে, আর মাঝি নাই, তা'তো হ'তে পারে না)।