বিষয়: রজনীকান্ত সেনের গান।
গান সংখ্যা:
৯৩
শিরোনাম: কর্তা! আমার এমন কি


    বিভাষ-একতালা
কর্ত্তা।   আমার, এমন কি বয়েসটা বেশী?
সত্য হ’লে কোষ্ঠী, এই যে আস্‌ছে জ্যোষ্ঠী
এই মাসে পুরিবে আশী।
আরে না না! আমার বিয়ে কর্‌বার কাল
যায়নিকো এখনো, আরে নন্দলাল!
কি বলিস?
চাকর।   কর্‌তা অ্যাহনো ছাওয়াল
হইবো, বিয়্যা করেন; তামুক লইয়্যা আসি।
কর্ত্তা।   আরে দেখ্ না আমার সংসারো অচল,
ছেলে পিলে মানুষ কে করে তাই বল;
আমি, চুলে কলপ দেবো, দাঁত বাঁধিয়ে নেবো,
আর এমনি ক’রে হাসবো সুধা-মাখা-হাসি (প্রদর্শন)
আমার, চামড়া গেছে ঝুলে, চোক গেছে কোটরে,
কোমর গেছে বেঁকে, বেড়াই লাঠি ধ’রে,
– 
তা’,
শৃঙ্গারতিলক কিছু নেব তোয়ের ক’রে;
চাকর।   আর যৈবন ফির‌্যা পাইবেন, হইবেন মোট্টা-খাসী।
কর্ত্তা।   কচি-মুখখানিতে বল্‌বে প্রেমের বুলি,
গয়না পেলেই আমার বয়স যাবে ভুলি’,
ক্ষীর-নবনী দিব চাঁদ-মুখেতে তুলি’,

চাকর।   (আর), চরণ হ্যাবা ক’র্‌বো হৈয়া হাবা-দাসী।
কর্ত্তা।   আর, কথায় কথায় যদি ক’রে বসে মান,
পায়ের উপর প’ড়ে বল্‌তো ‘দুটো খান’
তাতেও না ভাঙ্গিলে, ত্যজিব এ প্রাণ,

চাকর।   করতা, আমি আপনার গলায় দিয়্যা দিমু ফাসী।