বিষয়:
রজনীকান্ত সেনের গান।
গান সংখ্যা: ৯৮
শিরোনাম: কুলু কুলু কুলু নদী বয়ে
বাউলের সুর-কাহারবা
কুলু কুলু কুলু নদী ব’য়ে যায় রে ভাই!
তীরে ব’সে ভাব্ছ বুঝি, কি বলে ছাই?
তা’নয়, তোরা ভালো ক’রে শুন্বি যদি কাছে আয়,
ভারি একটা মজার গান নেচে নেচে গেয়ে যায়!
সবারি কি আছে কান? কেমন ক’রে শুনবে গো?
যেমন নাচে তেমনি গায় সে–
কোথায় লাগে নাটক, যাত্রা, খেমটা বাই?
নদী বলে, “আমি মস্ত গিরি রাজার মেয়ে গো!
বাবা তো নামান না মাথা, কারো কাছে যেয়ে গো!
নিশি দিন উর্ধ্বে চান, মেঘে তাঁর করায় স্নান,
যোগী-ঋষিদের দেন স্থান–
নিজে মহাযোগী, বাহ্য জ্ঞান তো নাই।
‘তরঙ্গিণী” নামটি বাবা আদর ক’রে দিয়েছে–
একাগ্রতা, একনিষ্ঠা, যতনে শিখিয়েছে,
বাবার কাছে সাগরের, রুপগুণ শুনেছি ঢের,
তাইতে স্বয়ম্ভরা হ’তে–
সে প্রশান্ত সাগর পানে ছুটে যাই।
কুলে তোরা সংসার পেতে, মায়ায় ভুলে রয়েছিস,
কত ফল, আর ফুলের বাগান, দালান কোঠা ক’রেছিস;
আমি গিয়ে লাগাই গোল, পেতে দি’ এই নিঠুর কোল,
একটি মাত্র কূল রাখি, আর–
কাঁদিয়ে তোদের, আর এক কূলের মাথা খাই।
আমার সঙ্গে পারবি তোরা? আমায় ধ’রে রাখ্বি কেউ,
কি টানে টেনেছে আমায়, উঠ্ছে বুকে প্রেমের ঢেউ,
(আমার) প্রাণের গানে সুধা ঢেলে
প্রাণের ময়লা নীচে ফেলে,
বাধা ভেঙ্গেচুরে ঠেলে,–
কেমন ক’রে যাচ্ছি চ’লে দেখ না তাই?”