এই গানটির তিনটি পাঠান্তর রয়েছে(১)
(ও) চলে যে যায় দিন দিন দিন
নূপুর বাজে রিন ঝিন ঝিন।
রজনী নামে জীবনে
সজনী আর ডেকো না,
বুকেতে বেঁধে রেখো না
মহাজীবনের ক্লান্তিহরা, মুগ্ধ করা
ওই বাজে কার বীণ ॥কি যেন দিতে পারিনি,
ও মোর মনোহারিণী
স্বপন বনচারিণী আমি যে তোমার।
ছিলাম ঘুমে মগন
স্বপন হল ভগন,
গেল যে বয়ে লগন হায় ॥জানি না তবু জানি যে,
গহন মনে মানি যে,
তোমার মুখখানি যে নয়নে আমার।
সতত ভাসে স্মরণে
জীবনে কিবা মরণে,
ক্ষম গো ধরি চরণে হায় ॥
(২)
চলে যে যায় দিন, দিন, দিন,
নূপুর বাজে রিন ঝিন ঝিন
রজনী নামে জীবনে
সজন আর ডেকো না,
বুকেতে বেঁধে রেখো না,
মহাজীবনের সম্প্রদানের ডাক যে আসে
শুনি আজ তারি বীণ ॥কি যেন দিতে পারিনি,
জীবন মনোহারিণী,
স্বপন বনচারিণী আমি যে তোমার
সোনালি কত লগন,
ছিল যে বৃথা মগন,
কত যে আশা ভগন হায় !দারুণ গিরি দহন
যাবে না কভু কহন,
ছড়ায়ে সীমা সঘন সজন আমার
মিলায়ে যাব আকাশে,
রইব মিশে বাতাসে,
আশার কিছু আভাসে হায় !
(৩)
চলে যে যায় দিন, দিন, দিন
নূপুর বাজে রিন ঝিন ঝিন
রজনী নামে জীবনে,
সজন আর ডেকো না
বুকেতে বেঁধে রেখো না,
মহাজীবনের ক্লান্তিহারা, স্বপ্নভরা
ঐ বাজে শোনো বীণ ॥কি যেন দিতে পারিনি,
জীবন মনোহারিণী,
স্বপন বনচারিণী, আমি যে তোমার।
সোনালি কত লগন,
ছিলেম বৃথা মগন
কত যে আশা ভগন হায় !দারুণ কী যে দহন,
যাবে না কভু কহন,
রয়েছি কত সহন, সজন আমার।
নাই তো কিছু স্মরণে,
জীবনে কী বা মরণে,
মিশেছে নানা ধরনে হায় !