চলচ্চিত্রের গান

গঙ্গা গঙ্গার তরঙ্গে
প্রাণ-পদ্ম ভাসাইলাম রে।
গঙ্গা রাখিয়ো যতনে বুকে নিয়া
মাগো দুলায়ো আসার ঢেউ দিয়া রে ॥

ভাঁটায়-ভাঁটায় ওগো জোয়ারে জোয়ারে
মোর প্রাণ সখা যায় তোমার দুয়ারে ।
গঙ্গা রাখিয়ো যতনে বুকে নিয়া
মাগো দুলায়ো আশার ঢেউ দিয়া রে ॥

মিলন বিরহে আমি চির বিরহিণী
শয়ন ভুলেছে নয়ন দিবস রজনী।
গঙ্গা রাখিয়ো যতনে বুকে নিয়া
মাগো, দুলায়ো আশার ঢেউ দিয়া রে ॥

সাগর মোহানার টানে ছুটেছে যেমনই
ঢেউ ঢেউ ঢেউ বুকে আমার পিরিতি তেমনই।
গঙ্গা রাখিয়ো যতনে বুকে নিয়া
মাগো, দোলায়ো আশার ঢেউ দিয়া ॥

• মুক্তি পায় : ১৯৬০
• চলচ্চিত্রের নাম : গঙ্গা
• সুর : সলিল চৌধুরী
• রচনার ইতিহাস : লক্ষ করা যাচ্ছে যে উপরিউক্ত গানটির মোট চারটি স্তবক। প্রতিটি স্তবকে চারটি করে ছত্র। গানটি পূর্ণাঙ্গ রূপে রচনার ইতিহাস একটু বিচিত্র। প্রথম দুটি স্তবক সকলের আগে "গঙ্গা" (১৯৬০) ছবির জন্য রচিত হয়। প্রথম স্তবকটি শুধু ওই ছবির পরিচয়-লিপি অংশে ব্যবহৃত হয়েছিল। শিল্পী : নির্মলেন্দু চৌধুরী ও সহশিল্পীবৃন্দ---রেকর্ড নং---N 77034 প্রথম ও দ্বিতীয় স্তবকের সম্মিলনে যে গানটি হয়, সেটি ওই ছবির দৃশ্যে ব্যবহৃত। শিল্পী : সবিতা চৌধুরী---রেকর্ড নং---N 77033/TAE 4001 তৃতীয় স্তবকটি যুক্ত হয় সবিতা চৌধুরীর জন্য, নানা অনুষ্ঠানে সংগীতটি পরিবেশনের তাগিদে। এই তিন স্তবকের গানটি রেকর্ড বা ক্যাসেট-সিডিতে মুদ্রিত হয়নি। তৃতীয় স্তবকটিতে শুধুমাত্র নারীর কথা আছে বলে, উৎপলেন্দু চৌধুরীর অনুরোধে সলিল চৌধুরী চতুর্থ এক বিকল্প স্তবক তাঁর জন্য যোগ করেছিলেন এবং দ্বিতীয় স্তবকের দ্বিতীয় ছত্রটি পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন---বিকল্প ছত্র হিসাবে সেটি ছিল এরূপ “বাহিয়া চলেছি প্রাণ-সখীর দুয়ারে” তৎসহ ছত্রের শেষ “রে" গুলি বর্জন এবং প্রতিটি 'দুলায়ো' কে “দোলায়ো” করেছিলেন। উৎপলেন্দু চৌধুরী গাইতেন প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্তবক। তাঁর ক্যাসেট নং TPHVS 28083 (১৯৮৭)