বিহারীলাল চক্রবর্তীর গান


                                              

                                  ভৈরবী- আড়াঠেকা

নয়ন অমৃত রাশি প্রেয়সী, আমার।       

জীবন-জুড়ান ধন, হৃদি-ফুল হার!       

মধুর মুরতি তব, ভরিয়ে রয়েছে ভব       

সমুখে সে মুখশশী জাগে অনিবার।       

কী জানি কী ঘুমঘোরে, কী চোখে, দেখেছি তোরে   

এ জনমে ভুলিতে রে পারিব না আর!       

তবুও ভুলিতে হবে, কী লয়ে পরাণ রবে
কাঁদিয়ে চাঁদের পানে চাই বারবার!
হে চন্দ্রমা কার দুখে, কাঁদিছে বিষণ্ণ-মুখে
অয়ি দিগঙ্গনে কেন কর হাহাকার।
হয়তো হল না দেখা, এ লেখাই শেষ লেখা;
অন্তিম কুসুমাঞ্জলি স্নেহ-উপহার!
কুসুম-কাননে মন,কেন রে বিজন বন,

এমন পূর্ণিমানিশি যেন অন্ধকার।

 

গ্রন্থভুক্তি

.  শতগান,  ৩৫ সংখ্যক গান, ভৈরবী-আড়খেমটা (১৩০৭ বঙ্গাব্দ) সরলাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত সুবর্ণ সংস্করণ, ১৪১৮। পৃষ্ঠা: ১১৯-২৯০।

 

প্রাসঙ্গিক বিষয়:

সুরকার:
বিহারীলাল চক্রবর্তী
 

স্বরলিপিকারসাহানা দেবী

 

সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী
রাগ:
ভৈরবী

তাল: আড়াঠেকা

গ্রহস্বর: সা