নোমোহন চক্রবর্তীর গান

                    ১২

           মিশ্র বিভাস । কাহার্‌বা
 

        জাগ' আনন্দে আনন্দ-ভূবনে।

        থেকো না আর মোহ-ঘোরে মিছে স্বপনে॥

কাননে জাগিল পাখি,    আনন্দ আলোকে ডাকি,

        শোন সে আনন্দধ্বনি ওঠে গগনে।

        জেগে শোন শোন রে। কি বা মধুর মধুর, বড়ই মধুর।

        শোন সে আনন্দধ্বনি ওঠে গগনে

এ আনন্দ রূপে যিনি,    বিশ্ব-প্রাণাধার তিনি,

        আনন্দ-বারতা তাঁরি বহে পবনে;

দেখ রে দেখ তাঁহারে    উদয় আচল-দ্বারে;

        দেখ কি মহাপ্রাণ-তরঙ্গ প্রাণে প্রাণে !

        জেগে দেখ দেখ রে। অন্তরে বাহিরে দেখ।

        দেখ কি মহাপ্রাণ-তরঙ্গ প্রাণে প্রাণে॥

নাহি মৃত্যু, নাই শোচনা,    গেছে দুরে ভয় ভাবনা,

        প্রভাতে মুক্তি-ঘোষণা এসেছে নামে

'অমৃতের অধিকারী,    জাগ জাগ নরনারী,

        ব্রহ্মরূপ প্রাণে হেরি ডোব' সাধনে।

        অমর হইব যদিআনন্দ অমৃত তিন

        ব্রহ্মরূপ প্রাণে হেরি ডোব' সাধনে॥

ব্রহ্মজ্ঞান ব্রহ্মধ্যান,    ব্রহ্মানন্দরস-পান,

        সকলি মঙ্গল ব্রহ্মনাম-কীর্তনে।'

সুখে দঃখে জপ রে নাম,    এ নামে হবে পূর্ণকাম,

        মৃতসঞ্জীবন নাম মরত-ধামে।

        ব্রহ্মনাম বিনে আর কি ধন আছে;

        এ নাম বল রে বল রে বল।

        মৃতসঞ্জীবন নাম মরত-ধামে॥

 

গ্রন্থভুক্তি

. ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি, পঞ্চম খণ্ড, ১৪ সংখ্যক গান [সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ (১১ মাঘ ১৪০৭ বঙ্গাব্দ)]


প্রাসঙ্গিক বিষয়:

 

সুরকার:

স্বরলিপিকার: প্রফুল্লকুমার দাস

 

সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী
রাগ:
মিশ্র বিভাস

তাল: কাহার্‌বা

পর্যায়:  ব্রহ্মসঙ্গীত
গ্রহস্বর: গপা