মনোমোহন চক্রবর্তীর গান
১৩
প্রভাতী। কাওয়ালী
জাগ নরনারী, অমৃতের ভিখারি,
ধন্য হও প্রাণে নেহারি ব্রহ্ম-প্রাণারাম।
দেখ যুগযুগান্তর ধরি আঁধার আছিল ঘিরি, ভারতের যত মন প্রাণ।
কাটিল আঁধার রাত, আসিল যে সুপ্রভাত, প্রকাশিত দিব্য ব্রহ্মজ্ঞান।
(সবে জাগ জাগ রে; মোহ-ঘোরে থেকো না রে)॥
শোন জগতের ভক্ত যোগী, স্তিমিত লোচনে জাগি, যেই সুধারস করি পান,
ভুলে গেল আত্মপর, মরতে হল অমর, বদনে ধ্বনিল ব্রহ্মনাম।
(কিবা মধুর মধুর বড়ই মধুর)॥
লহ শত বরষের দান, ব্রহ্মজ্ঞান ব্রহ্মধ্যান, ব্রহ্মানন্দ রস কর পান,
জুড়াবে তাপিত চিত, প্রাণ মন পুলকিত, শান্তি মিলিবে অবিরাম।
(ব্রহ্মজ্ঞানে ব্রহ্মধ্যানে; ব্রহ্মনন্দরস পানে)॥
এস শতবরষউৎসবে, ভেদাভেদ ভুলি সবে, ব্রহ্মপদ করি ধ্যান জ্ঞান,
ও পদে হইলে মতি, ফিরে জীবনের গতি, ক্ষুদ্র হয় মুক্ত মহীয়ান।
(ব্রহ্মপদে মতি হলে; ব্রহ্মপদে প্রাণ সঁপিলে)॥
ওই রাজ-ঋষি লয়ে জ্ঞান, মহর্ষি ধরিয়া ধ্যান, ব্রহ্মানন্দ নামের নিশান,
প্রেমে হয়ে মাতয়ারা, আগে চলেছেন তাঁরা, সেই পথে চল ব্রহ্মধাম।
(ব্রহ্মনাম হয়ে সবে; নামের নিশান নিয়ে সবে)॥
গ্রন্থভুক্তি
১. ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি, ষষ্ঠ খণ্ড, ১২সংখ্যক গান । [সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ (১১ মাঘ ১৪০৭ বঙ্গাব্দ)] ।
২.ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি,
৩য় খণ্ড হতে প্রাপ্ত।
প্রাসঙ্গিক বিষয়: গানটির
সুর
স্বরলিপিকার: কাঙালীচরণ সেন
সঙ্গীত
বিষয়ক তথ্যাবলী
রাগ:
প্রভাতী
তাল: কাওয়ালী
পর্যায়: ব্রহ্মসঙ্গীত
লয়: ঈষৎ
দ্রুত
গ্রহস্বর: গা
॥
গ্রন্থভুক্তি
১. ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি, পঞ্চম খণ্ড, ১০নং গান [সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ (১১ মাঘ ১৪০৭ বঙ্গাব্দ)] ।
প্রাসঙ্গিক বিষয়:
সুরকার :
স্বরলিপিকার :
সঙ্গীত
বিষয়ক তথ্যাবলী
রাগ: জয়জয়ন্তী
তাল: একতাল
পর্যায়: ব্রহ্মসঙ্গীত
লয়:
ঈষৎ দ্রুত
গ্রহস্বর: রা