১০১৫.
রাগ:
আহীর ভৈরব, তাল: ত্রিতাল
অরুণ-কান্তি কে গো যোগী ভিখারি।
নীরবে হেসে দাঁড়াইলে এসে
প্রখর তেজ তব নেহারিতে নারি॥
রাস-বিলাসিনী আমি আহিরিণী
শ্যামল কিশোর রূপ শুধু চিনি,
অম্বরে হেরি আজ একি জ্যোতিঃপূঞ্জ
হে গিরিজাপতি! কোথা গিরিধারী॥
সম্বর সম্বর মহিমা তব, হে ব্রজেশ ভৈরব,
আমি ব্রজবালা।
হে শিব সুন্দর, বাঘছাল পরিহর, ধর নটবর-বেশ
পর নীপ-মালা।
নব মেঘ−চন্দনে
ঢাকি'
অঙ্গজ্যোতি
প্রিয় হয়ে দেখা দাও ত্রিভুবন−পতি
পার্বতি নহি আমি, আমি শ্রীমতী
বিষাণ ফেলিয়া হও বাঁশরি−ধারী॥
ভাবসন্ধান:
১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
৩. রচনাকাল: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ৮ অক্টোবর তারিখে বেতারের 'হারামণি' নামক অনুষ্ঠানে গানটি প্রথম সম্প্রচারিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪০ বৎসর।
৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ:
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই অক্টোবর তারিখে সন্ধ্যা ৭টা-১৫ মিনিটে 'হারামণি'র প্রথম অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানে সেকালের লুপ্তপ্রায় রাগ 'আহীর ভৈরব' নিয়ে আলোচনা করা হয়। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১লা অক্টোবর 'বেতার জগতে' এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে─
"যাঁরা সঙ্গীত সম্বন্ধে গবেষণা করেছেন তাঁরা জানেন কত অপ্রচলিত রাগ-রাগিণী ওস্তাদজীদের ঘরোয়ানা পেটিকায় অন্ধকার ভেদ করে দিনের আলোকে দেখা দিতে আরম্ভ করেছে। যাঁরা এই উদ্ধার সাধনে লিপ্ত আছেন তাঁরা আমাদের বরেণ্য। কবি নজরুল ইসলাম এই শ্রেণীর একজন লুপ্ত রত্নোদ্ধারের কর্মী। তিনি বহু অপ্রচলিত রাগ-রাগিণীকে বাংলা গানের ভিতর দিয়ে রূপায়িত করে তুলেছেন। কবি ও সুরকার, এই দুই জাতীয় প্রতিভার সৃজনী শক্তিকে সেই সঙ্গীতগুলি বাংলার সঙ্গীতকে সমৃদ্ধি দান করেছে। এবার ৮ই অক্টোবর রবিবার সন্ধা ৭-১৫ মিনিটে তিনি 'আহীর ভৈরব' রাগের সঙ্গে আমাদের শ্রোতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিচয় স্থাপন করাবেন। সঙ্গীততত্ত্বে বিশেষজ্ঞ সুরেশ চক্রবর্তী মহাশয়ের সহযোগিতায় এই 'হারামণি' বহু শ্রোতার চিত্তে স্নিগ্ধ আলোক সম্পাত করবে এই আমাদের বিশ্বাস।"
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানের
সূত্রে কাজী নজরুল ইসলাম 'আহির ভৈরব' রাগে এই গানটি রচনা করেছিলেন।
[সূত্র:
নজরুল যখন বেতারে। আসাদুল হক (বাংলাদেশ শিল্পকলা
একাডেমী, চৈত্র ১৪০৫। মার্চ ১৯৯৯) হারামণি (১) পৃষ্ঠা: ৫০।]
৫. সুরকার:
৬. স্বরলিপিকার:
৭.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
রাগ:
আহীর ভৈরব।
তাল:
ত্রিতাল। (বিলম্বিত)।
সুরের অঙ্গ:
পর্যায়: রাগ-প্রধান গান।
গ্রহস্বর: সা।