১১৪
                        
তাল: দাদ্‌রা
আমি
    চিরতরে দূরে চলে যাব তবু আমারে দেব না ভুলিতে
আমি
    বাতাস হইয়া জড়াইব কেশ বেণী যাবে যবে খুলিতে
                     তোমার সুরের নেশায় যখন
                     ঝিমাবে আকাশ কাঁদিবে পবন
          রোদন হইয়া আসিব তখন তোমার বক্ষে দুলিতে
          আসিবে তোমার পরমোৎসব
−− কত প্রিয়জন কে জানে,
          মনে প'ড়ে যাবে কোন্ সে ভিখারি পায়নি ভিক্ষা এখানে।
                      তোমার কুঞ্জ-পথে যেতে হায়
                      চমকি' থামিয়া যাবে বেদনায়
          দেখিবে কে যেন ম'রে মিশে আছে তোমার পথের ধূলিতে

১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:       

২. রেকর্ড সূত্র: ব্রহ্মমোহন ঠাকুর রচিত নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা  (নজরুল ইন্সটিটিউট, জ্যৈষ্ঠ ১৪১৬। মে ২০০৯) নামক গ্রন্থের ২৩৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৬১ -এ এই গানটির ২টি রেকর্ডের উল্লেখ পাওয়া যায়। এগুলো হলো--
    ১. ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে এইচ.এম.ভি. রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়। শিল্পী ছিলেন চিত্ত রায়। রেকর্ড  নং- এন ২৭২৯২। রেকর্ড লেবেলে সুর-নজরুল ইসলাম। রেকর্ড বুলেটিনে সুর-শিল্পী (চিত্ত রায়)।
    ২. ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে এইচ.এম.ভি. রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির দ্বিতীয় রেকর্ড প্রকাশিত হয়। শিল্পী ছিলেন ইলা ঘোষ। রেকর্ড  নং- এন ২৭৮১৩। রেকর্ড লেবেলে সুর-নজরুল ইসলাম। রেকর্ড বুলেটিনে সুর-ধীরেন দাস।
                      
৩. রচনাকাল: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে এইচ.এম.ভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪৩ বৎসর।

৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ: 
এটি একটি রাগপ্রধান গান।
                  
                      
৫. সুরকার: গানটির সুরকার নিয়ে বিতর্ক আছে। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে এইচ.এম.ভি. রেকর্ড কোম্পানী থেকে প্রকাশিত রেকর্ড অনুযায়ী (রেকর্ড নং- এন ২৭২৯২) রেকর্ড লেবেল -এ সুরকারের নাম লেখা আছে কাজী নজরুল ইসলাম। কিন্তু রেকর্ড বুলেটিন -এ সুরকারের নাম লেখা আছে চিত্ত রায়
আবার, ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে এইচ.এম.ভি. রেকর্ড কোম্পানী থেকে প্রকাশিত রেকর্ড অনুযায়ী (রেকর্ড নং- এন ২৭৮১৩) রেকর্ড লেবেল -এ সুরকারের নাম লেখা আছে কাজী নজরুল ইসলাম। কিন্তু রেকর্ড বুলেটিন -এ সুরকারের নাম লেখা আছে ধীরেন দাস
উল্লেখ্য, দুটি রেকর্ডের সুর একই।
[সুত্র: নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর। ২৩৫ সংখ্যক গান (নজরুল ইন্সটিটিউট, জ্যৈষ্ঠ ১৪১৬। মে ২০০৯)। পৃষ্ঠা: ৬১]।

৬. স্বরলিপিকার: 

৭. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: 
রাগ:
তাল
: দাদ্‌রা।
সুরের অঙ্গ: রাগপ্রধান।
পর্যায়:
প্রেম (বিরহ)।
গ্রহস্বর:
সা।

            ___________________________________________________________________